নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে এ অবধি করোনা আক্রান্ত ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানালো রাজ্য সরকার যদিও এরা সবাই করোনাতেই মারা গেছেন এমনটা নয়। এই ১০৫ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যেই শুধুমাত্র ৩৩জনের করোনাতেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানালেন রাজ্যের মূখ্যসচিব রাজীব সিনহা। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের রাজ্যের অবস্থা বিবৃত করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যসচিব জানান, এ পর্যন্ত রাজ্যে ১০৫ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যুর কারণ করোনাই। বাকি ৭২ জনের মৃত্যুর কারণ করোনা কি না, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা আরও জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৩৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৫ জন। ফলে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭২। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩৯ জন।
ফলে সব মিলিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের ঘটনা ৭৪৪টি।
রাজ্যে নয়া করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে তিন জেলা কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা এবং হাওড়ায়। এছাড়া হুগলি থেকে নয়া সংক্রমণের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। আজ যত জন পজিটিভ এসেছেন তার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে এসেছেন বেশিরভাগ। এই তিন জেলা থেকে ৮০%। হুগলি থেকেও কয়েক জন আক্রান্ত এসেছেন। তবে এই মুহূর্তে করোনা মুক্তির হার ১৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, বঙ্গে করোনা আক্রান্তের ঘটনা ৭৫৮ জন। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যের হিসেবে ফারাক রয়েছে ১৪ জনের।
আরও জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে ১৬৫২৫টি। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় টেস্ট হয়েছে ১৯০৫টি, যা আগের দিনের তুলনায় ৫০০ টি বেশি। রাজ্যে ল্যাবের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪টি। আরও ২টো ল্যাব রেডি হচ্ছে। গত তিন দিন প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সিএনসিআই-তে টেস্ট হচ্ছে না। কলকাতায় ২৬৪টি কনটেনমেন্ট জোন আছে। হাওড়ায় ৭২টি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৭০টি কনটেনমেন্ট জোন আছে। সরকারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫২৮৮ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১০ হাজার ৭৭৩ জন। রাজ্যে করোনা হাসপাতালের সংখ্যা ৬৬ থেকে বেড়ে ৬৭ হল, তার মধ্যে কলকাতাতেই করোনা হাসপাতালের সংখ্যা ৪ থেকে বেড়ে ৫ হয়েছে।
তবে রাজ্য সরকারের যুক্তি মেনে নিয়েও যথেষ্টই শংকার কারন রয়েছে রাজ্যের কাছে। রাজ্যেরই হিসাব অনুযায়ী একদিনে সর্বাধিক ১১ জনের মৃত্যু বাড়ায় ২২ থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়়ে দাঁড়াল ৩৩ জনে। যদি রাজ্যের কো-মরবিডিটির তত্ত্ব মেনে নেওয়া হয় তবে তাও যথেষ্ট আশংকার কারন তাহলে ধরেই নিতে হয় যে এই মৃত ১১জনেরই অন্য কোনও উপসর্গ ছিলনা কেবলমাত্র কোবিড-১৯ আক্রান্ত হওয়া ছাড়া।