Homeএখন খবরআলাদা সংসার না গড়তে পেরে পরিবারের সবাইকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী গৃহবধূ

আলাদা সংসার না গড়তে পেরে পরিবারের সবাইকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী গৃহবধূ

আলাদা সংসার না গড়তে পেরে পরিবারের সবাইকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী গৃহবধূ

নিজস্ব সংবাদদাতা: নিজের মত করে সংসার করার ইচ্ছায় বাধা পেয়ে দুই সন্তান সহ ৪জন কে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন এক গৃহবধূ। শনিবার উত্তরপ্রদেশের এটওয়ায় সিনগরনগরে একই পরিবারের ৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এমনই তথ্য খুঁজে পেলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। মানু্ষের মানসিক গড়নের এই বিকৃত মানসিকতা, ইচ্ছা পুরনে ব্যর্থ হওয়ায় নির্মম প্রতিহিংসা গ্রহনের এই মনোভাব স্তম্ভিত করে দিয়েছে পুলিশকে।
উল্লেখ্য গত শনিবার সকালে উত্তর প্রদেশের এটওয়া শহরে সিনগরনগরে এক বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৫ জনের দেহ উদ্ধার করার পরে ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিশ। এর মধ্যে নিহত গৃহবধূ দিব্যার ডান হাতের কব্জিতে ক্ষতচিহ্ন দেখতে পায় গোয়েন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় শৌচাগার পরিষ্কার করার তরল ও ব্লেড। রান্নাঘর থেকে মেলে দুধের নমুনা। সেই নমুনা পরীক্ষা করার পর দেখা যায় দুধের মধ্যে মেশানো হয়েছিল বিষ যা কিনা দুই শিশু সমেত চারজনকে পরিবেশন করেছিলেন দিব্যাই ।

পুলিশ জানিয়েছে, পচৌরি পরিবারের একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে উত্তরাখণ্ডে থাকেন। বৃদ্ধ শ্বশুর রাজেশ্বর প্রসাদ পচৌরি (৭৫) ও দুই শিশুপুত্র অরূপ (৮) ও আরভকে (১) নিয়ে এটাহর বাড়িতে থাকতেন দিব্যা (৩৫)। কিছু দিন আগে তাঁর কাছে বেড়াতে আসেন তার বোন সোনাই (২৩)। সম্প্রতি পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে রুড়কিতে থাকার পরিকল্পনা করেন দিব্যা। কিন্তু সেই ইচ্ছায় বাধা দিয়েছিলেন রাজেশ্বর প্রসাদ। প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন এই নিয়ে পরিবারে নিয়মিত ঝগড়া লেগে থাকত। বাবার কথা ভেবেই দিব্যার আলাদা থাকার পরিকল্পনায় বাধ সেদে ছিলেন তাঁর স্বামীও।
পুলিশ জানিয়েছে এরপরই ব্যর্থ আক্রোশে পরিবারের সবাইকে হত্যা করে আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা করেন বধূ। শুক্রবার রাতে দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে শ্বশুর, বোন ও দুই ছেলেকে পান করিয়ে হত্যা করেন দিব্যা। তার পরে নিজেও বাথরুম পরিস্কার করার তরল পান করে, ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটে তিনি আত্মহত্যা করেন। শনিবার সকালে বাড়ির দরজায় কড়া নেড়েও সাড়া পাননি স্থানীয় দুধ বিক্রেতা। প্রতিবেশীদের জানালে তাঁরা এসে বাড়ির সমস্ত দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে গ্যাস কাটার দিয়ে প্রধান দরজা কেটে বাড়িতে ঢোকে। বন্ধ বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় পচৌরি পরিবারের পাঁচ জনের দেহ। ময়নাতদন্তে প্রত্যেকেরই পাকস্থলীতে বিষ ও রাসায়নিকের অস্থিত্ব মেলায় নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিশ। এরপরই বিদ্যার স্বামী ও অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে এই তত্ত্ব।

RELATED ARTICLES

Most Popular