নিজস্ব সংবাদদাতা: মাত্র মাস দুয়েক আগে বিবাহিত এক গবেষক ছাত্রের আত্মহত্যায় চাঞ্চল্য ছড়াল আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসে। সোমবার সকালে ক্যাম্পাসের বাবা সাহেব অম্বেদকার ছাত্রাবাস থেকে ছাত্রটির রুমের দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে আইআইটির নিজস্ব নিরপত্তারক্ষী ও ছাত্ররা দরজা ভাঙার পরে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পুলিশ একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে তা তদন্তের স্বার্থে সিজ করেছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য লকডাউন চলাকালীন আইআইটির পাঠক্রম বন্ধ রয়েছে। সিংহভাগ পড়ুয়া বাড়ি চলে গেলেও কিছু পড়ুয়া গবেষনা ও অন্যান্য কারনে থেকে গিয়েছেন। এই গবেষক ছাত্রটি তাঁদেরই একজন।
আইআইটি সূত্রে জানা গেছে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডি কে পাথিয়ারের অধীনে পিএইচডি করছিলেন বছর আঠাশের ভবানীবালা কোন্ডলা রাও নামের ওই তরুন গবেষক। অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার বাসিন্দা রাও ২০১৫ সালে স্কলারশিপ নিয়েই আইআইটিতে গবেষনার সুযোগ পান।
একটি সূত্রে জানা গেছে রাওয়ের বাড়ি থেকে সোমবার সকালে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয় তাঁর মোবাইল ফোনে। কিন্তু তাঁকে কোনও বারই ফোনে পাওয়া যায়নি। উদ্বিগ্ন বাড়ির লোক তাঁর ফেসবুকের সূত্র ধরে তাঁরই এক সতীর্থকে ফোন করে। সেই বন্ধুই ছুটে আসে প্রথমে। বারবার দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পরেও দরজা না খোলায় জানলা দিয়ে উঁকি মেরে তাঁর ঝুলন্ত দেখতে পায়। এরপরই খবর দেওয়া হয় নিরপত্তা রক্ষী ও পুলিশকে। অম্বেদকর ছাত্রাবাসের ডি ব্লকের ২৪৫ নম্বর ঘরে থাকতেন রাও।
মাত্র ২মাস আগে ফেব্রয়ারিতেই বিয়ে করেছিলেন ওই ছাত্র ফলে হঠাৎ কেন তিনি আত্মহত্যা করতে গেলেন তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। নব পরিনীতা স্ত্রীর সংগে কোনও বিষয়ে মনোমালিন্য নাকি পরিবারের অন্য কারও সাথে সমস্যা তা নিয়ে জল্পনাও চলছে। এমনিতে রাও খুবই হাসিখুশি দিলদরিয়া ছিলেন বলেই ছাত্রাবাসের কর্মীরা জানিয়েছেন। আইআইটির রেজিস্টর ভৃগুনাথ সিং জানিয়েছেন, ”পড়াশুনা বা অন্য কোনও কিছুতেই আইআইটির সাথে কোনও সমস্যাই ছিলনা। ফলে আমরাও অন্ধকারে।”
পুলিশ জানিয়েছে ওই পড়ুয়ার বাড়ির সংগে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবার ময়নাতদন্ত করার কথা বলেছে। সেই মত ময়নাতদন্ত হবে সোমবারই। লকডাউনের মধ্যেই বিশেষ অনুমতি নিয়ে বাড়ির লোক অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপে আত্মহত্যার কোনও সূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছবি-নেট দুনিয়া সূত্রে প্রাপ্ত