নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘সরকার ঘরে থাকতে বলেছে ঘরেই আছি কিন্তু ত্রান কোথায়?’ এমনই দাবিতে তুলে বিক্ষোভ আর অবরোধ আছড়ে পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার অবাদুড়িয়ায় ৷ অবরোধ তুলতে গিয়ে বুভুক্ষু জনতার হাতে আক্রান্ত হন পুলিশ কর্মীরা।আক্রান্ত হন একাধিক পুলিশকর্মী ৷ অভিযোগ, পুলিশকে বেধড়ক মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকর্মীরা জখম হন ৷ মাথা ফাটে বাদুড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক বাপ্পাদিত্য মিত্রর ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ ঘটনাস্থালে ব্যপক উত্তেজনা ৷ বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়া অশ্বত্থতলার ঘটনা। আটক কয়েকজন বিক্ষোভকারী ।
বুধবার শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বুধবার সকাল আটটা থেকে বসিরহাট-বনগাঁ রোডের জোড়া অশ্বত্থতলার থালা হাতে ত্রাণের দাবিতে অবরোধ করে দাসপাড়া ও কাহারপাড়ার বাসিন্দারা স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তারা ঠিকমতো ত্রাণ পাচ্ছে না। রাজনৈতিকভাবে বৈষম্য করা হচ্ছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া। বুধবার সকালে বিক্ষোভ তুলতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় পুলিশ আধিকারিকদের। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নামানো হয় ব়্যাফ। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি আয়ত্তে এলেও এখনও থমথমে এলাকা।
উল্লেখ্য লকডাউন জারির কয়েকদিন পর থেকেই ত্রাণ নিয়ে একাধিক অভিযোগ করতে শুরু করেন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট, হাসনাবাদের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। কারও অভিযোগ, একে বারেই মিলছে না ত্রাণ। কেউ আবার অভিযোগ করেন রেশনের খাদ্য সামগ্রীর পরিমানে কারচুপির। এই নিয়ে একাধিকবার রাস্তা আটকে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। বুধবার সেই বিক্ষোভই বিশাল আকার নেয়। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ত্রাণের দাবিতে থালা হাতে নিয়ে বসিরহাটের বাদুড়িয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে করেন স্থানীয় দাসপাড়া ও কাহারপাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক রং দেখা হচ্ছে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ আধিকারিকদের উপর চড়াও হন তাঁরা। বেধড়ক মারধরের জেরে মাথা ফাটে এক পুলিশ আধিকারিকের। জখম হন মোট ৪ পুলিশকর্মী। এরপরই বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্রের নেতৃত্বে বসিরহাট, মাটিয়া ও বাদুড়িয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ যায় ঘটনাস্থলে। ব্যাপক লাঠিচার্জের পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। পুলিশ সূত্রে খবর, আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। যদিও জনতার অভিযোগকে যথেষ্টই গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কেন বারবার ত্রাণ নিয়ে অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না তাও খোঁজ করা নেওয়া হবে বলে জানান তদন্তকারীরা।এক আধিকারিক জানান, মানু্ষের এই দুর্ভোগে যদি কেউ ফায়দা তুলতে চায় তবে কঠিন হতে হবে পুলিশকে। তা নাহলে অবস্থা নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে।