নিজস্ব সংবাদদাতা: ২টি গ্রামের মানুষকে রেশন দেওয়া হয়নি ও আরও কয়েকটি অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের একটি এফ .আর.শপ মালিকানার লাইসেন্স স্থগিত করে দিল পশ্চিম মেদিনীপুর খাদ্য নিয়ামক দপ্তর। ঘটনাটি ঘটেছে সবংয়ের খাগড়াগেড়িয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে। প্রসঙ্গত খাগড়াগেড়িয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির অধীনে থাকা রেশন দোকানটির লাইসেন্স আপাতত বাতিল বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে খড়গপুর মহকুমা খাদ্য সরবরাহ ও নিয়ামক দপ্তরের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য এই সমবায় সমিতিটি তৃণমূল পরিচালিত এবং এর সম্পাদক গুরুপদ মাইতি আবার সবং পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত সদস্য।
এমাসের গোড়ায় স্থানীয় গোটগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তথা রেশন গ্রাহক এবং তৃণমূলেরই নেতা সবং ব্লক ডেভলাপমেন্ট অফিসার ও ফুড ইনসপেক্টরকে অভিযোগ জানান যে ওই সমবায় সমিতি কয়েকটি গ্রামের মানুষকে রেশন দিচ্ছেনা। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুটি পৃথক তদন্ত হয়। অভিযোগ ছিল যে গ্রামের গ্রাহককে রেশন দেওয়া হয়নি এবং অন্তদয় গ্রাহকদের ১কেজি করে চাল কম দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় ওই সমিতির রেশন লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত সমবায় সমিতির সমবায় সমিতির সম্পাদক গুরুপদ মাইতি বলেন, অভিযোগ কোনও গ্রাহক করেননি। করেছিলেন তিনি তৃণমূলেরই স্থানীয় নেতা। প্রাথমিক ভাবে আমরা আটা কম পেয়েছিলাম তাই দেওয়া যায়নি পরে আটা আসতেই তা দেওয়া হয়েছিল। আমরা তা খাদ্য নিয়ামককে জানিয়েও ছিলাম। তারপরও কেন লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে জানিনা তবে আমাদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি।
অন্যদিকে ঘটনায় খুশি সুকুমার মাইতি বলেন, আমি চাই উপযুক্ত শাস্তি হোক। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা সবং থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য, জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের নেতা অমূল্য মাইতি বলেন আমি শুনেছি। তবে সরকারি ভাবে যা পদক্ষেপ নেওয়ার নিয়েছে এই ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করছি না।
ঘটনায় অবশ্য সবং এলাকার শাসকদলের দুটি গোষ্টির দরজা ফের প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযুক্ত গুরুপদ মাইতি অমূল্য মাইতির এবং অভিযোগকারী সুকুমার মাইতি রাজ্যসভার সদস্য মানস ভূঁইয়ার অনুগামী বলেই পরিচিত। সবংয়ে প্রায়ই এই দুই গোষ্টির মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে তরজা প্রকাশ্যে নেমে আসতে দেখা গেছে। খাগড়াগেড়িয়া সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে দেখা গিয়েছিল মানস গোষ্টির নেতাদের। গুরুপদ মাইতির দাবি ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কাজ করেছে। যদিও মানস গোষ্টির দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই গরীব মানু্ষের রেশন লুট করা হচ্ছিল। প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে।