Homeএখন খবরমারা গেলেন পূর্ব মেদিনীপুরের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ! জেলায় সুস্থ হয়ে ফিরেছেন...

মারা গেলেন পূর্ব মেদিনীপুরের করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ! জেলায় সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১৩ জন

মেদিনীপুরের তমলুক থানার বল্লুক গ্রামের করোনা আক্রান্ত ৭২ বছরের বৃদ্ধের মৃত্যু হল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই গ্রামেরই আরেক করোনা আক্রান্ত ৮০ বছরের বৃদ্ধের ভাই মঙ্গলবারের মৃত ব্যক্তি। যদিও মৃত হৃদরোগেও আক্রান্ত ছিলেন। তাই কো- মর্বিডিটি সূত্রে রাজ্য সরকার ওই মৃত্যুর কারন কি বলবেন তা এখনও জানা যায়নি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, ‘খবর পেয়েছি করোনা আক্রান্ত ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তবে উনি হৃদরোগেও আক্রান্ত ছিলেন। স্বাস্থ্যভবন জানাবে ওনার মৃত্যুর কারন।’

উল্লেখ্য গত মার্চ মাসে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মার্চের শেষে তাঁর দাদা করোনায় আক্রান্ত হন। এপ্রিল মাসে সুস্থ হয়ে তমলুকের বাড়িতে ফেরেন বৃদ্ধ। ৫ এপ্রিল বৃদ্ধ সহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের জ্বর ও নানা উপসর্গ নিয়ে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি হন । এরপরই বৃদ্ধকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় । পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ। তারপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ
মৃত্যু হয় তাঁর। এ বিষয়ে বল্লুক এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শরৎচন্দ্র মেটিয়া জানিয়েছেন, বৃদ্ধ প্রথমে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল। পরে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। ওই বাড়িতেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তিনি করোনায় সংক্রামিত হন। মঙ্গলবার সকাল নাগাদ তার মৃত্যু হয় তাঁর।

বৃদ্ধের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেই তাঁর পরিবার ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা একাধিক ব্যক্তির করোনা পরীক্ষা করা হয়, একে একে অনেকেরই পজিটিভ ধরা পড়ে। যদিও এঁদের অনেকেই আবার করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থতার সাথে বাড়ি ফিরেছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক, হলদিয়া ও এগরা মিলিয়ে ২২জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। জেলাওয়াড়ি করোনা আক্রান্তের হিসাবে সংখ্যাটি এগিয়ে থাকার হলেও আশার কথা এটাই যে এঁদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এগারার ৩, হলদিয়ার ৫ জনই সুস্থ হয়েছেন। তমলুকের ৫ জন সুস্থ হয়েছেন। বাকি ৯ জনও সুস্থ হয়ে উঠছেন এমনটাই দাবি করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে। সব মিলিয়ে জেলায় কিছুটা স্বস্তির হাওয়া ।

RELATED ARTICLES

Most Popular