Homeএখন খবরঅনেক নাটকের শেষে আজ থেকে মিলবে মদ, খড়গপুরে হোম ডেলিভারির নম্বর নিতেই...

অনেক নাটকের শেষে আজ থেকে মিলবে মদ, খড়গপুরে হোম ডেলিভারির নম্বর নিতেই লম্বা লাইন

নিজস্ব সংবাদদাতা: দুদিন আগেই সরকারের চুপচাপ ঘোষনা ছিল হোম ডেলিভারিতে মিলবে মদ। সঙ্গে সেই মদ পাওয়ার জন্য কিছু নির্দেশিকাও দেওয়া হয় মদের দোকানদার ও কিছু শর্ত আরোপ করা হয় মদ্যপায়ীদের প্রতি। সেই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচার হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয় সাধারন মানু্ষের মধ্যে। আর তারপরই বিষয়টিকে গুজব বলে জানিয়ে পুলিশ পাল্টা হুমকিও দেয় যে, এই গুজব যে সমস্ত সংবাদমাধ্যম ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

সার্কুলার জারি করে তা প্রত্যাহার করেও নেওয়া হয়। কিন্তু ভেতরে ভেতরে প্রক্রিয়াও চালু থাকে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার মদের দোকানের মালিকদের একটি পিডিএফ ফাইল দিয়ে জেলার আবগারি আধিকারিক জানিয়ে দিয়েছেন, ‘মদের হোম ডেলিভারি দেবে এমন তিনজন কর্মচারী ও তাঁর গাড়ির নম্বর যেন স্থানীয় থানায় জমা দেওয়া হয়। থানাই এই বিষয়টা মনিটরিং করবে। এই মত খড়গপুর টাউন ও খড়গপুর লোকাল থানা সহ সব থানাতেই তালিকা জমা দিয়ে দিয়েছেন মদের হোম ডেলিভারি দিতে আগ্রহী মদের দোকানদাররা।’

শুক্রবারই মদের দোকানদের নিয়ে একটি মিটিং সেরে ফেলেন আবগারি আধিকারিকরা। যেখানে বলা হয়, দোকানদারদের একটি খাতা রাখতে হবে যে খাতায় কোন খরিদ্দার কত মদ কিনছেন তা লেখা থাকবে। একজন খরিদ্দার সর্বোচ্চ দিনে ৯লিটার অবধি মদ কিনতে পারবেন। কোনও দোকানদারই দোকানের সামনের মূল কাউন্টার খুলে রাখতে পারবেনা। ডেলিভারি চার্জ বাবদ খরিদ্দারের কাছ থেকে কত টাকা নেবেন তা দোকান মালিকই ঠিক করবেন তবে রসিদে মদের দাম টুকুই লেখা থাকবে।

আরও জানানো হয়েছে , প্রতি দিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত মদের অর্ডার নেওয়া হবে। আর দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মদের হোম ডেলিভারি করা হবে। বাড়ির কাছে কোনও মদের দোকানে অথবা পানশালায় ফোন করে অর্ডার দেওয়া যাবে। বলা হয় যে, অফ-শপ, অন-শপ, পানশালা, রেস্তরাঁ, হোটেল থেকেও মদের হোম ডেলিভারি হবে। তবে, দোকানে গিয়ে মদ কেনা যাবে না। শুধু হোম ডেলিভারি নেওয়া যাবে।

এদিকে মদের হোম ডেলিভারি দেওয়া হবে শুনেই শুক্রবার খড়গপুরের বিভিন্ন মদের দোকানের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায় অনলাইনে অর্ডার করার জন্য মদের দোকানের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর সংগ্রহ করার জন্য। রীতিমত সামাজিক দুরত্বের নিয়ম মেনেই ঠা ঠা রোদ্দুরের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মানুষকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular