নিজস্ব সংবাদদাতা: ২২শে মার্চ নরেন্দ্র মোদির ডাকে দল বেঁধে কাঁসার ঘন্টা বাজিয়ে সামাজিক দুরত্ব ভেঙে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছিলেন দুরত্ব বজায় রাখার করোনা বিরোধী যুদ্ধের আর এবারেও অতি উৎসাহে মোমবাতি মিছিল করে আরও একবার সামজিক দুরত্ব বজায় রাখার জাতীয় প্রতিজ্ঞায় আঘাত হানল তারাই। খোদ কলকাতার বুকেই এই মোমবাতি মিছিল যেন করোনা বিরোধী লড়াইয়ে বাংলার পরাজয়ের শোক মিছিলে পরিনত হল।
আর এরই সঙ্গে আরও একবার প্রমানিত হল কাঁসর বাজিয়ে মিছিল করার অভিজ্ঞতার পর দেশ জুড়ে যে তীব্র ধিক্কার উঠেছিল তাতে গা করেনি মোদি ভক্তের দল। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে অতি উৎসাহে ময়দানে নেমে নিজেদের ল্যাজে আগুন ধরিয়ে জাতিকে পোড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে নিলেন এরা। অবশ্য শুধুই মোমবাতি মিছিল নয়, রবিবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকে নিজের বাড়ির দুয়ারে মোমবাতি প্রদীপ কিংবা টর্চ জ্বালানোর নাম করে এদিন চকলেট বোম, তুবড়ি , ফানুস উড়িয়ে বায়ু আর শব্দ দূষনে যোগ্য সংগত রাখতেও দেখা গেছে কলকাতা সহ সারা বাংলাকেই। এদিন রাত ৯টার সময় পুরুলিয়ার বান্দয়ানে ধাদকাতে বাজি থেকে আগুন লেগে পুড়ে গেছে নির্মল দাস বলে একজনের দোকান । আর রাজস্থানের বৈশালী নগরে আনন্দের বাজিতে একটা বস্তিতে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনার খবর পাওয়া গেছে ।
পাশাপাশি এই একই জিনিসই দেখা গেছে দেশ জুড়েই। প্রশ্ন উঠেছে সারা দেশ জুড়ে যখন লকডাউন চলছে, যখন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ছাড়া সমস্ত দোকান বন্ধ তখন এত বাজি পেল কোথায় মানুষ? আর প্রশ্ন এটাও বাজি ফাটিয়ে, তুবড়ি জ্বালিয়ে আর ফানুস উড়িয়ে যে কিসের আনন্দ উদযাপন করছেন মানুষ! করোনা যুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারতে ৮৫জন মানুষ মারা গেছে, আক্রান্ত সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়েছে, গোষ্টি সংক্রমনের ভয়াবহ আশংকার মধ্যে এ কিসের আনন্দ উদযাপন করে যাচ্ছে মানুষ, কখনও এক সাথে জড়ো হয়ে কাঁসার ঘন্টা বাজিয়ে, কখনও আবার একসাথে মোমবাতি মিছিল করে ?