নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখন তৃতীয় স্তরে। এই স্তর আরও মারাত্মক, এই স্তর গোষ্টি সংক্রমনের। অর্থাৎ এতদিন খবর আসত অমুক জায়গায় একজন আক্রান্ত তমুক জায়গায় দু’জন। এখন খবর আসবে এক সাথে ৫ থেকে ৫০ জন আক্রান্ত হওয়ার। কারন যে মানুষটি কোনও এলাকায় প্রথম সংক্রামিত হয়েছিলেন তাঁর কাছ থেকে গোটা একটা পরিবার বা গোষ্ঠি সংক্রামিত হয়ে পড়বেন। যেমনটা হচ্ছে ইতালি , স্পেনে, আমেরিকায়। মৃত্যুর সংখ্যা সেখানেও এখন হাজার হাজার ছাড়িয়ে লাখের সিঁড়ি ছুঁতে চলেছে।
করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারত দ্বিতীয় স্তর পেরিয়ে এসেছে। এই স্তরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত’র সংখ্যা ২,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই মরন ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে ২৩৫ জনের শরীরে।প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৪৭। মৃতের সংখ্যাও বাড়তে বাড়তে ৬২তে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আমাদের কতটা জয় হয়েছে নাকি আমরা করোনা যুদ্ধে পরাজিত তা নির্ধারন করবে এই তৃতীয় পর্যায়ের ফলাফল।
আর সে কারনেই এবার আরও কঠোর কেন্দ্র সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘরবন্দী দশার ন’দিন কাটতে না কাটতেই আরো কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যগুলোকে।
লকডাউন যারা অমান্য করবে কিংবা সরকারি কর্মীদের বাধা দেবে তাদের এক থেকে দু’বছরের জন্য জেলে পাঠাতে হবে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলির উদ্দেশে এমনই বার্তা দিল। যারা চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মীদের উপরে আক্রমণ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মীদের উপরে হামলা করলে এক বছরের জেল হতে পারে। যদি এর ফলে কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যু হয় তাহলে জেল হবে দু’বছরের। এদিন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা সমস্ত রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেন আইন অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য।
আগেই ২৪ মার্চের লকডাউনের গাইডলাইনে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে যারা নিয়ম মানবে না তাদের বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৫ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে স্বাস্থ্য কর্মীদের পাথর ছোঁড়া ও তাড়া করার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা জারি হল। মনে রাখতে হবে শনিবার থেকেই কার্যকর হয়ে যাচ্ছে এই নির্দেশিকা।