নিজস্ব সংবাদদাতা: আগামী কয়েকদিনের মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। ”গোডাউনে দ্রব্য রেখেও খরিদ্দাদের বলা হচ্ছে নেই। বড় দোকানে সাধারন মানুষ গেলে তাঁকে চাহিদার সামগ্রী দেওয়া হচ্ছেনা অথচ সেই দোকানে ছোট দোকানদার গেলে সেই সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কৃত্তিম সংকট তৈরি করা। প্রশাসনের কাছে এরকম সুস্পষ্ট কয়েকটি আভিযোগ এসেছে। আর সেই সুবাদেই বলছি আগামী দু’দিনের মধ্যে শুধরে যান নতুবা কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” খড়গপুর টাউন থানায় খড়গপুর শহরের ব্যবসায়ীদের ডেকে এভাবেই সতর্ক করে দিলেন খড়গপুরের মহকুমা শাসক বৈভব চৌধুরী।
বুধবার সন্ধ্যা বেলায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ডাকা হয়েছিল খড়গপুর শহরের কাউন্সিলর ও বিধায়ক সহ কিছু বিশিষ্টজনকে। মহকুমা শাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর মহকুমার দায়িত্বে থাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা।
সভায় মহকুমা শাসক বলেন, ”বিভিন্ন অজুহাতে শহরে কৃত্তিম সংকট, মূল্যবৃদ্ধি ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার চাইছেন খাদ্য দ্রব্যর সরবরাহ সম্পুর্ন সাবলীল থাকুক। খাদ্য দ্রব্যের ওপর লকডাউনের কোনও প্রভাব নেই, খাদ্যদ্রব্য বহনকারি গাড়ি যাতায়াতের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু অনেকেই গাড়ি আটকে গেছে, মাল আসছেনা ইত্যাদি অজুহাত হাজির করছেন। প্রশাসন এসব বরদাস্ত করবেনা। কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে দোষি প্রমানিত হলে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, যদি কোথাও কোনও খাদ্যদ্রব্য বহনকারি গাড়ি আটকে পড়ে পুলিশকে জানান, পুলিশ গিয়ে সেই গাড়ি শহরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করবে। শুধু তাই নয় কোথাও কোনও পরিবার খাদ্যদ্রব্য না পেলে কিংবা কোনও গরীব পরিবার খেতে পাচ্ছেনা এমন খবর থাকলেও আমাদের জানান। পুলিশ দায়িত্ব নেবে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কিন্তু বাজারে গিয়ে মানুষ চাহিদা অনুযায়ী জিনিস পাবেনা এটা কখনই বরদাস্ত করা হবেনা।”
এদিন ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আভিযোগ করা হয়, ব্যবসার কারনে রাস্তায় নেমে পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অকারনে লাঠি মারছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এরকম কোনও ভাবেই হওয়ার কথা নয়। যদি হয় সাথে সাথে আমাকে জানান ফোন করে।
ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি প্রশাসনের দু’চার দিনের মধ্যে নিজেরা সামলে না নিলে পুলিশই সামলে দেবে
RELATED ARTICLES