নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে বাড়ছে ভারতে। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম নাও হতে পারে সরকারি পরিকাঠামো বিশেষত যদি সংক্রমন আরও বেড়ে যায়। তাই শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল বা ল্যাবোরেটরিগুলির উপর ভরসা না রেখে বেসরকারি কোম্পানিগুলিকেও ভাইরাস-টেস্টের অনুমতি দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ( ডিজিসিআই )। সেই কোম্পানিগুলি নিজেদের ল্যাবোরেটরিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের টেস্ট করতে পারবে, সেই কিটও বিক্রি করতে পারবে তারা। তবে এই ল্যাব-টেস্টের জন্য ইচ্ছামতো দাম নয়, প্রতিটা কোভিড-১৯ স্যাম্পেল টেস্টের দাম কত হবে তার নির্দিষ্ট মাপকাঠি ঠিক করে দিয়েছে অন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনেই বেসরকারি ল্যাবোরেটরিগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে আইসিএমআর। বলা হয়েছে, প্রতিটা কোভিড-১৯ স্যাম্পেল টেস্টের খরচ যেন সাড়ে চার হাজার টাকার বেশি না হয়। স্ক্রিনিং টেস্টের জন্য ১,৫০০ টাকা এবং রোগীর নমুনায় সংক্রমণ রয়েছে কিনা সেটা জানার জন্য পরীক্ষা অর্থাৎ ‘কনট্যামিনেশন টেস্ট’-এর জন্য ধার্য করা হয়েছে ৩০০০ টাকা।
এইসব কোম্পানিগুলি যে কিট তৈরি করেছে তা ভারতের বিভিন্ন বড় বড় ডায়গনস্টিক সেন্টারে বিক্রি করা হবে। এর ফলে আরও সহজে যে কেউ করোনা আক্রান্ত কিনা তার পরীক্ষা করা সহজ হবে। তাড়াতাড়ি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেলে চিকিৎসাও অনেক তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ দেশজুড়ে ৫১টি বেসরকারি ল্যাবরেটরিকে এই করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে। এই মুহূর্তে আইসিএমআর-এর আওতায় ৭২টি এবং সিএসআইআর, ডিআরডিও ও অন্যান্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আওতায় ৪৯টি ল্যাবরেটরি কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সপ্তাহের মধ্যে দেশজুড়েআরও ১২১টি ল্যাবরেটরি তৈরি করা হবে। সরকারের আরও বক্তব্য, করোনার পরীক্ষা যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ। বেসরকারি স্তরে এই পরীক্ষা শুরু হলে যাঁদের ক্ষমতা আছে তাঁরা সেই ব্যয় বহন করতে পারবেন। এরফলে দেশের আরও বেশি গরীব পরিবারের আক্রান্ত বা সন্দেহভাজনদের সরকার বিনামূল্যে এই পরিষেবা তুলে দিতে পারবে।