Homeএখন খবরবিদেশ যাত্রার রেকর্ড নেই তবুও করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ় ! রাজ্যের চতুর্থ করোনার...

বিদেশ যাত্রার রেকর্ড নেই তবুও করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ় ! রাজ্যের চতুর্থ করোনার শিকারকে ঘিরে এবার ধন্দ ও আতঙ্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত অবধি একটা শৃংখলা ছিল , প্রত্যেকেই বিদেশ প্রত্যাগত । কিন্তু গোল বাধল চতুর্থ আক্রান্তকে ঘিরে যার কোনও বিদেশ যাত্রার রেকর্ডই নেই । তাহলে ? এই তাহলে কে ঘিরেই এবার সংশয় ও আতঙ্ক। তাহলে কি বিদেশে না গিয়েও কিংবা সেরকম কারও সংস্পর্শে না এসেও করোনা হতে পারে। দমদমের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের শরীরে করোনা বাসা বাধায় এমনই আলোচনা এখন জোর। বর্তমানে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। সূত্রের খবর, রাজ্যের চতুর্থ করোনা আক্রান্তের। বিদেশ যাত্রার কোনও রেকর্ড নেই। ফলে কী ভাবে তিনি সংক্রমিত হলেন, তা নিয়ে ধন্দে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

এ অবধি পাওয়া খবর অনুসারে, দিন সাতেক আগে জ্বর ও শুকনো কাশি নিয়ে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয় বছর ৫৭-এর ওই প্রৌঢ়কে। সেখানে চিকিৎসা শুরুর পর ক্রমশ তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে ৩ দিন আগে তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় এসএসকেএমে। সেই রিপোর্ট ইতিবাচক হওয়ায় ফের নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে। এদিন দ্বিতীয় রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই চিকিৎসকরা জানান ওই প্রৌঢ় নোভেল করোনা আক্রান্ত।

 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাজ্যের এই চতুর্থ করোনা আক্রান্তের বিদেশ যাত্রার কোনও রেকর্ড নেই। তবে কীভাবে সংক্রমিত হলেন তিনি, তা নিয়ে ধন্দে চিকিৎসকরা। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, কোনওভাবে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ফলেই আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তাই বিদেশ যাত্রা না করলেও দেশের মধ্যেই তিনি কোথাও গিয়েছিলেন কি না, তা জানতে রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন চিকিৎসকরা।

 

সম্প্রতি, বিদেশ থেকে আসেননি অথচ জ্বর-সর্দি-কাশি রয়েছে এমন ৮২৬ রোগীর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করেছে আইসিএমআর। জানা গিয়েছে সব ক’টা রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ তাঁদের মধ্যে কেউ কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত নন। তবে চিন্তা বাড়িয়ে এখন দেশে দু’জন এমন রোগীর খোঁজ মিলেছে যাঁদের সাম্প্রতিককালে বিদেশ ভ্রমণের রেকর্ড নেই। একজন কলকাতার দমদমের বাসিন্দা। তাঁর তীব্র শ্বাসের সমস্যা রয়েছে, অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গেছে। অন্যজন পুণের এক মহিলা যিনি নভি মুম্বইতে একটি বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। ভারতী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। তবে সব হিসাব গোলমাল করে দিয়েছেন এই দুজন । একটা মিসিং লিঙ্ক পাওয়া এখন ভীষন জরুরি । নইলে বদলে যাবে সব হিসাব, ভাবতে হবে নতুন করে।

RELATED ARTICLES

Most Popular