নিজস্ব সংবাদদাতা: পুলিশের চোখের সামনেই তাঁদের দলীয় কার্যালয় দখল করেছে তৃনমূল তাই ফুলের তোড়া নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে হাজির হলেন বিজেপি নেতারা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এমনই বিরল প্রতিবাদের ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের রামজীবনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে।। মঙ্গলবার রামজীবনপুর মন্ডল বিজেপির সভাপতি ও সদ্য হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী শিবরাম দাস সহ নেতা কর্মীরা অভিযোগ পত্রের সাথে ফুলের তোড়া নিয়ে সটান পুলিশ ফাঁড়িতে হাজির হন। ঘটনায় রীতিমত হকচকিয়ে যান ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক।
বিজেপির অভিযোগ,মঙ্গলবার দুপুরে রামজীবনপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড ফাঁড়িগোড়াতে তাদের ওয়ার্ড কার্যালয়টি তৃণমূল দখল করে নেয়,তাদের পতাকা ফেস্টুন সমস্ত কিছুই কার্যালয় থেক বার করে রাস্তার ধারে ফেলে দেয়। বিজেপি নেতাদের আরও অভিযোগ গোটা ঘটনাটি ঘটেছে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে চোখে দেখা দূরত্বেই অথচ পুলিশ নির্বিকার ছিল। তাই তারা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে পুলিশ ফাঁড়িতে ফুলের তোড়া প্লাকার্ড নিয়ে হাজির হয়েছে। শিবরাম দাস জানিয়েছেন, ‘যেখানে পুলিশের চোখের সামনে বিরোধী দলের কার্যালয় দখল করার সময় যদি পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে সেই পুলিসে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ ব্যবস্থা নেবে এমন আশা করিনা। আর সেই কারণেই আমরা অভিযোগের সাথে পুলিশকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছি। শাসকদলের গণতন্ত্র হরণের কাজটিকে পুলিশ ভালোভাবে উৎসাহিত করছে।”
যদিও ফুলের তোড়া নেননি ফাঁড়ির আধিকারিক। তিনি বলেন,বিজেপির অভি তাদের দলীয় কার্য্যালয় তৃণমূল দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ জানান।যদিও আধিকারিক বিজেপি গুরুত্ব দিয়েই খতিয়ে দেখা হবে। বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েই পুলিশ বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখে আসে। বিজেপির অভিযোগ তাদের কার্যালয় দখলের মূলে রয়েছেন রামজীবনপুর পৌরসভার তৃণমুলের প্রশাসক নির্মল চৌধুরী। বিজেপি বিস্ময় প্রকাশ করেছে , অতীতে, বাম আমলেও এমন ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি।
অন্যদিকে বিজেপির সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পুর প্রশাসক তথা রামজীবনপুর তৃনমুল নেতা নির্মল চৌধুরী।
চৌধুরী জানিয়েছেন, ২১ জুলাই উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় পতাকা লাগানো চলছে। সেই কাজ করতে গিয়ে হয়ত ভুল করে কোথাও পতাকা লাগিয়ে দিয়েছেন কর্মীরা। যদি তেমনটা হয়ে থাকে তবে আমরা তা খুলে নেবো। কিন্তু বিষয়টিকে নিয়ে অযথা রাজনীতি এবং এই ধরনের নাটুকেপনার কোনও মানে হয়না।ঘটনাকে ঘিরে রামজীবনপুরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা।