নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুরের অন্যতম বিলাসবহুল হোটেল তাম্রলিপ্ততে আগুন লেগে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও হোটেলের বেশ কয়েকটি তলে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বেশ ভাল পরিমানে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে পারেনি হোটেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে ৬নম্বর হাওড়া মুম্বাইয়ের খড়গপুর শহর ঘেঁষা সাহাচকে অবস্থিত এই অভিজাত হোটেলটিতে আগুনের অস্তিত্ব নজরে এসেছে সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ। ওই সময় নিচের তলার একটি ঘরের জানলা থেকে প্রথমে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায় অল্পক্ষণের মধ্যেই আগুনের লকলকে শিখা ছড়িয়ে পড়ে নিচের কয়েকটি তলে। এই হোটেলের একদিকে যেমন জাতীয় সড়ক রয়েছে অন্যদিকে তেমনই রয়েছে খড়গপুর শিল্প তালুক ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি। ফলে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়।
কিছুক্ষনের মধ্যেই খবর পেয়ে খড়গপুর শহর থেকে রওনা হয় দমকল কর্মীরা। দ্রুততার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করেন তাঁরা। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আগুন আয়ত্তে নিয়ে আসেন তাঁরা। জানা গেছে যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেটি তাম্রলিপ্তর প্রথম এবং পুরানো ভবন। বর্তমানে সেটিকে হোটেলের পরিবর্তে একটি স্কুলে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া চলছে। হোটেলটি স্থানান্তরিত করা হয়েছে লাগোয়া নতুন ভবনে ফলে মানুষজনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আসবাবপত্র সহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গেলেও একটি ইঞ্জিনেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যেহেতু ওই ভবনটিতে রান্নাঘর ছিলনা তাই অনুমান করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। হোটেলের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক ওয়ারিংয়ের হাল হককিৎ কী ছিল ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, হোটেলের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে দমকল কী রিপোর্ট দেয় দেখার পরই পুলিশ পদক্ষেপ নেবে।