নিউজ ডেস্ক : ভূত আছে কী না তাই নিয়ে হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা বিতর্ক আজও বহমান। ভূত থাক আর নাই থাক, ভুয়ো ভূত ধরা পড়েছে অনেকবার, অনেক জায়গাতেই। যেমনটা ধরা পড়ল এবার উত্তরবঙ্গে। ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো বিচারপতি এমনকি ভুয়ো মানবাধিকার কমিশনের সদস্যের পর এবার ভুয়ো ভূতকে ঘিরে সরগরম বাংলা। ফেসবুকে ফেসবুকে এখন চলছে সেই ভূতেরই চর্চা। নেটিজেনদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে এবার যদি দেশে একটা ভুয়োশ্রী পুরস্কার চালু করা হয় তবে নিশ্চিতভাবেই বাংলাই জিতে নেবে সেই পুরস্কার। হ্যাঁ, ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর রাত্রি হলেই আবির্ভাব হওয়া সাদা থান পরিহিতা এক ‘অশরীরী’কে ঘিরে শুরু হওয়া আতঙ্কের পরেই কয়েকজন সাহসী মানুষের প্রচেষ্টায় বে-নাকাব করা সম্ভব হয়েছে ওই অতৃপ্ত পেত্নীকে।
গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছিল জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে এক মহিলা।পরনে সাদা কাপড়।রাতের বেলা এমন দৃশ্য সামনে এলে যে কোনো গাড়ি চালকের আত্মারাম খাঁচাবন্দী হবেই।এমন দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় অলৌকিক গল্পকথাও।বেশ কিছুদিন ধরে রাতের বেলায় এমনই এক সাদা কাপড় পরিহিতার দেখা মিলছিল লাটাগুড়ি মহাকাল ধামের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে।জাতীয় সড়কের মাঝ দিয়ে হেঁটে যান তিনি।যা দেখে গাড়ির ব্রেক কষতে বাধ্য হন গাড়ির চালকরা।
শ্যামলা দোহারা চেহারার ওই মহিলার গা সাদা কাপড়ে ঢাকা।ভূত ভেবে ভয় পেয়েছেন অনেকে।মহিলাকে ওভারটেক করে এগিয়ে যাবেন সেই সাহস দেখাননি গাড়ির চালকরা।পাশাপাশি এলাকার পরিবেশ গা ছমছমে হওয়ায় আরও ভয় জাঁকিয়ে বসে। পেশায় শিক্ষিকা সুমনা ঘোষদস্তিদার,তানিয়া হক,মেঘনা দেবরা সাহস করে এগিয়ে যান ঘটনাটি বুঝতে।মহিলাকে ঘিরে ধরেন তারা।খবর দেওয়া হয় মেটেলি দানার পুলিশকে।এরপর আটক করা হয় ওই মহিলাকে।শুরু হয় জেরা।
কেউ কেউ বলছেন ,আটজনের একটি দলে ছিলেন ওই মহিলা।ভূতের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করা ছিল তাদের উদ্দেশ্য।এমন অনুমান পুলিশের।যদিও মহিলার বাকি সঙ্গীদের খোঁজ পায়নি পুলিশ। মাল মহকুমার পুলিশ আধিকারিক রবিন থাপা জানান,মহিলার মানসিক কোনো সমস্যা রয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে।ঘটনার তদন্ত চলছে। এদিকে এই ঘটনার পর আতঙ্ক কেটেছে এলাকাবাসীদের।তারা বুঝতে পেরেছেন এসব দুষ্কৃতিদের কষা ছক।কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন তারা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি সত্যি সত্যি ছিনতাইয়ের ছক নাকি অন্য কোনও কিছু ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ। ফেসবুক চিত্র