Homeকরোনা আপডেটভয়ের কিছুই নেই, করোনা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নিয়েই তৈরি ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর

ভয়ের কিছুই নেই, করোনা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নিয়েই তৈরি ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা মোকাবিলায় জঙ্গলমহলের অন্তর্গত দুই জেলা ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নিয়েই তৈরি আছে বলে জানিয়ে দিলেন দুই জেলার মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। দুজনেই জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ, কেন্দ্র সরকারের পরামর্শ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা মোকাবিলায় যা যা করনীয় বলে জানিয়েছে সমস্তটাই করা হচ্ছে। কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে রাজ্যের বাইরে থেকে আসা মানুষজনদের ওপর।

 

ঝাড়গ্রাম জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান না পাওয়া গেলেও ঝাড়গ্রাম শহরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কেয়ারান্টিনে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি বুধবার পাঞ্জাব থেকে কিছু উপসর্গ নিয়ে ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন। ওইদিনই তাকে কেয়ারান্টিনে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের আইসোলেশনে দুজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সিআরপিএফ জওয়ান এবং একজন ঝাড়গ্রাম সংশোধনাগারের এক অভিযুক্ত। একই ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে এখনো পর্যন্ত নজরবন্দি হয়েছেন আটষট্টি জন। তার মধ্যে ষোল জনকে বিপদমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

 

দুই জেলার কোথায় কোথায় এখনো পর্যন্ত নজরবন্দি হয়েছেন আটষট্টি জন l তার মধ্যে ষোল জনকে বিপদমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কোথায় কোথায় কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে এবং তাদের পরিমান কত সে সম্পর্কিত বিবরনও দিয়েছেন জেলা মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেই মোতাবেক ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন শয্যা রয়েছে চৌদ্দটি এবং আইসোলেশন বারোটি। জেলার গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন শয্যা রয়েছে ত্রিশটি এবং আইসোলেশন কুড়িটি। এছাড়াও নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন শয্যা রয়েছে ছ’টি এবং আইসোলেশন বারোটি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলায় এখনো পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা রোগীদের কারো করোনা ধরা পড়েনি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সবদিক থেকে প্রস্তুত রয়েছে।

 

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, পশ্চিম মেদিনীপুরে হোম আইসোলেশনে বাহান্নটি শয্যা রয়েছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে চারটি। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে চারটি। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ছ’টি। ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চারটি এবং শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চারটি। বিশেষ তত্বাবধানে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৫০টি কোয়ারেন্টাইন শয্যা রয়েছে।

 

দুই জেলারই স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে , রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সব রকম সরঞ্জাম সরবরাহ করছেন। সবাইকে সতর্ক এবং সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে। অহেতুক আতংকিত হওয়ার তেমন কোনো কারণ নেই। যেকোনো ধরনের অবৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বন না করতে প্রচার করা হচ্ছে। সর্দি জ্বর হলেই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। মানু্ষের ভয়ভীতি ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মাস্ক, গ্লাভস কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন নিয়ে যাতে কোনও কালোবাজারি না হয় তার জন্য নিয়মিত দোকানগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular