Homeএখন খবরখেজুরি ধর্ষণ মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে! নির্যাতিতার বাড়িতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন

খেজুরি ধর্ষণ মামলা গেল সুপ্রিম কোর্টে! নির্যাতিতার বাড়িতে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন

ভীষ্মদেব দাস: শেষ অবধি খেজুরির গৃহবধূ ধর্ষণ মামলা পৌছালো দেশের শীর্ষ আদালতে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতার পরিবার। পূর্ব মেদিনীপুরের প্রান্তিক উপকূলের এই থানার মামলা দেশের শীর্ষ আদালতে পৌছানোয় অন্যমাত্রা পেল বলেই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। ২রা মেয়ে রাজ্যে ঘোষিত হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। আর
৪ঠা মে রাতে খেজুরি-২ ব্লকের মালদা গ্রামের এক বিধবা মহিলা ধর্ষিতা হন। অভিযোগ আরও যে প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই ধর্ষিতাকে বিষ খাওয়ানোর।

পরের দিন সকালে অর্থাৎ ৫ই মে স্থানীয় বাসিন্দারা মহিলাকে উদ্ধার করে কামারদা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। সেই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল খেজুরির মহিলা তাদের দলীয় সমর্থক এবং ঘটনাটিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসারই প্রতিফলন এমনটাই দাবি করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। প্রসঙ্গত ধর্ষিতা মহিলা বিজেপি সমর্থক। ৫ই মে মালদায় বিক্ষোভ, পথ অবরোধ করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যারা। পরিবারের তরফে থানায় প্রাথমিক অভিযোগ দায়ের করলেও অভিযুক্তরা অধরা।

বিজেপি নেতৃত্বের তরফে পরিবারকে সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস দোলই। তাপস দোলই বলেন, বিধবা মহিলা, বাড়িতে একা থাকতেন। বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মহিলাকে ধর্ষণ করে, প্রাণে মারার চেষ্টা করে। নির্যাতিতা মহিলা এখনও কোলকাতায় চিকিৎসাধীন। তার পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ করলেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে।

কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন নির্যাতিতা মহিলার ছেলে। ঘটনার পর তিনি বাড়ি আসেন। তিনি জানান, অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পু্লিশ এখনও পর্যন্ত দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেননি। অভিযুক্তরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য রোজ হুমকি দিচ্ছে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

এদিকে মঙ্গলবার খেজুরির মালদায় নির্যাতিতা মহিলার বাড়ি এলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। এদিন ৬সদস্যের দল কথা বলেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সাথে। এলাকায় ঘুরে বাসিন্দাদের সাথেও কথা বলেন কমিশনের সদস্যরা। পাশাপাশি খেজুরি থানার ওসি ও ব্লক প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য দল। সব মিলিয়ে এই ঘটনা কী জাতীয় ইস্যু হয়ে দাঁড়াতে চলেছে ?

RELATED ARTICLES

Most Popular