নিউজ ডেস্ক: যেন এক ছবির দৃশ্যের প্রেক্ষাপট, দিনে দুপুরে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনের নীচে শুটআউট, চলছে একের পর এক গুলি। পুলিশের গুলিতে অবশেষে নিহত ২ দুষ্কৃতী। বুধবার দুপুরে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় এই ২ দুষ্কৃতী। সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এসটিএফের সদস্যরা ঐ আবাসনে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতীদের ধরতে গেলে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। আহত হন এসটিএফএর ওসি কার্তিক মোহন ঘোষ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই এদিন তল্লাসি অভিযানে যায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। আবাসনে লুকিয়ে ছিল পাঞ্জাবের গ্যাংস্টার যশপ্রীত জসসি, জয়পাল ভুল্লার, এমনটাই খবর ছিল পুলিশের কাছে। এই দুই অপরাধী একের পর এক অপরাধের ঘটনায় জড়িত। জয়পাল নিজে ও তার গ্যাং-এর লোকেরা অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পাঞ্জাবে তাদেরই গ্যাং প্রকাশ্যে পুলিশ কর্মীকে খুন করে। এরপর থেকেই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই দুষ্কৃতীদের খোঁজ করছিল পাঞ্জাব পুলিশ। ২০১৬ সাল থেকে পলাতক সে। কিন্তু কী ভাবে বাংলায় এসে এভাবে দিনের পর দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকল দুষ্কৃতীরা, তা নিয়েই উঠছে নানান প্রশ্ন।
তাদের খোঁজে এদিন এসটিএফের একটি দল কলকাতার নিউটাউনের সাপুরাজি আবাসনে অভিযান চালায়। সেই সময় পাঁচতলা থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালান পুলিশকর্মীরাও। গুলির লড়াইয়ে দুই দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। জানা যাচ্ছে এদের মধ্যে একজন জয়পাল সিং ভুল্লার। এছাড়াও একজন এসটিএফের ওসি জখম হন। এই আবাসনে আর কোনও দুষ্কৃতী লুকিয়ে আছে কি না, সেটা জানার জন্য তল্লাসি এখনও জারি রয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে রেখেছে। নিহত দুই দুষ্কৃতী কতদিন ধরে এই আবাসনে লুকিয়ে ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।