নিজস্ব সংবাদদাতা: সংক্রমন কমছে জেলায়। ছ’শ ছাড়িয়ে সাতশ ছুঁতে যাওয়া জুন মাসের ২তারিখ থেকে টানা ২০০ঘরে ছিল যা কিনা ৭ই জুন নেমে গেল ২০০ নিচে। ১লা জুন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৩৬৬জন নতুন আক্রান্ত ছিল। এরপর পরপর ২৭৭, ২২৪, ২৬৪, ২৮২ এবং ৬ই জুন তা দাঁড়ায় ২০৩ জনে। ৭ই জুন স্বস্তি দিয়ে তা দাঁড়িয়েছে ১৯৩ জনে। না, এমনটা নয় যে জেলায় ওইদিন করোনার পরীক্ষা কম হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাব বলছে এদিন জেলায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১৪০জনের। এরমধ্যে ১৯৩ জন আক্রান্ত পাওয়ায় আক্রান্তের হার অনেক কমে দাঁড়িয়েছে ৯.০১শতাংশে।
সমগ্র করোনা কালের হিসাব অনুযায়ী জেলার মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৭ হাজার ১১৩ জনে। এই মুহূর্তে জেলায় সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২হাজার ৬১৪ জন। এঁদের মধ্যে বাড়িতে রয়েছেন এমন মৃদু আক্রান্ত বা উপসর্গহীন ২হাজার ৩৪০জন বাড়িতেই রয়েছেন। হাসপাতাল আর সেফহোমে রয়েছেন ২৭৪জন রুগী। জেলায় সুস্থতার হার ৯১.৫৪ শতাংশ। জেলায় মৃত্যুর হার ১.৪১শতাংশ।
এবার আমরা দেখে নেই ৭ই জুন জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে কোথায় কোথায়? এদিন খড়গপুর শহরে ৩৬ জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। নির্দিষ্ট ঠিকানা উল্লেখ নেই খড়গপুর শহরে এমন ৪ আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এদিন সর্বাধিক ৫জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে তালবাগিচায়, ৫জন। ঢেকিয়া সহ মালঞ্চ এলাকায় আক্রান্ত ৪জন। নিমপুরায় ৩জন এবং খরিদা মন্দিরতলা, সাঁজোয়াল এবং বিদ্যাসাগরপুর সহ ইন্দা এলাকায় ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। একজন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে ডিভিসি মায়াপুর, আইআইটি ক্যাম্পাস, চিত্তরঞ্জননগর, ভগবানপুর, চন্ডীমন্দির, ভবানীপুর, ঢেকিয়া, সোনামুখী, তলঝুলি, রাজগ্রাম, কৌশল্যা, রামমন্দির ও সাউথ ইন্দা থেকে।
এদিন আইআইটি খড়গপুর সূত্রে ৫জন এবং রেল কর্মী পরিবার সূত্রে ১১জন আক্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ আইআইটি ও রেল সূত্র বাদ দিয়ে খড়গপুর শহরে মাত্র ২০জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। খড়গপুর গ্রামীনের মাদপুর থেকে ৩জন আক্রান্ত সহ নতুন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে বসন্তপুর হাটসুলতানপুর, কলাইকুন্ডা, চকঅর্জুন, বলরামপুর, আমগাছিয়া হরিয়াতাড়া, হাতিয়া, সালুয়া থেকে।
৭ই জুন মেদিনীপুর শহরেও আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট কম, মাত্র ৩০জন। ঠিকানা বিহীন মেদিনীপুর শহরে ৫ জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। পাটনাবাজার ও বক্সীবাজার থেকে ৩জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সহ
রাঙামাটি, আবাস, হবিবপুর, তোড়াপাড়া ও মিত্রকম্পাউন্ড থেকে ২জন করে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। ন্যূনতম ১জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে বিবিগঞ্জ, অলিগঞ্জ, মীরবাজার, পুলিশ লাইন, সেকপুরা, কেরানীতলা, সিপাইবাজার, পালবাড়ি, মহাতাপপুর ও কুইকোটা থেকে।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেলিয়া থেকে ৫ জন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। ন্যূনতম একজন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে বানপুরা অযোধ্যানগর, পাচরা, কামারাড়া, গোপগড়, ভূঁইয়াটা, গুড়গুড়িপাল, বিন্দাওথরা থেকে।
মেদিনীপুর মহকুমার শালবনী সদরে ১ জন আক্রান্ত ছাড়াও ওই থানার , ট্যাঁকশাল কলোনী, গোবরু, জমদারগড়, শালবনী থানার সর্বাধিক আক্রান্ত গোদাপিয়াশালে, ৩জন। গড়বেতা সদরে আক্রান্ত ১জন। ওই থানার পানশিউলি ঢেঙ্গাদহ ও লাপুরিয়ায় ২জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। ১জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে তালডাঙরা,গরঙ্গা, চাঁদাবিলা, ভট্টগ্রাম, খড়িকাশুলি, বেহেরাশোল, উড়াসাই, রসকুন্ডু থেকে।
গোয়ালতোড় থানার বালিবাঁধ, জগারডাঙা, সিমলা থেকে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। শিরশা সহ কেশপুরে ৩জন আক্রান্ত।
খড়গপুর মহকুমার বেলদা সদর, দেউলি ও মহম্মদপুর থেকে ৩ জন করে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। মোহনপুর থানার কেওটখলিসায় ৪জন ও রামপুরায় ১জন আক্রান্ত। দাঁতন থানার মাটিবিরুয়া, পুন্দ্রাতে আক্রান্ত।
পিংলা জলচক, সুতছড়া, নয়া এবং সবং থানার শ্রীরামপুর, শালবনী, জুলকাপুর, শিবচক, হরিরহাট, বিষ্ণুপুর, বিহারিচক, মলারডাঙা থেকে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। ডেবরা সদরে ১জন, বরাগড়ে ৪জন ছাড়াও পুনাপত, পাঁচথুবি, গোটগেড়িয়া, পশ্চিমবৈতা, হরিহরপুর থেকে ১জন করে আক্রান্ত মিলেছে।
সমগ্র ঘাটাল মহকুমায় আক্রান্ত মাত্র ৩৬জন। চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাইতে ৭জন ও বাগপোতা ২জন আক্রান্ত। বৈদ্যনাথপুর, বোদরা, লক্ষ্মীপুর, মনোহরপুর, বগছড়ি, রামজীবনপুরে ১জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ঘাটাল থানার কোন্নগরে ৪জন ছাড়াও কিসমৎ রামচন্দ্রপুর, ইড়পালা, বলরামপুর, দুধেরবাঁধ থেকে ১জন করে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। দাসপুর থানার পলাশপাইয়ে সর্বাধিক ৩জন আক্রান্ত। জালাপুরে আক্রান্ত ২জন।১জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে খুকুড়দহ, ডিহিরামনগর, রাইকুন্ডু, ভরতপুর, বাসুদেবপুর, চাইপাট, সাহাচক ও রানা গ্রামে।