বিশ্বজিৎ দাস: দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত আটটায় দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নোটবন্দির ঘোষণা করেন। রাতারাতি বাতিল হয়ে যায় চালু ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট।
কেন্দ্রীয় সরকার মূলত কালোবাজারি রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এরপর বাজারে আসে ৫০০ টাকার নতুন নোট। সেই সময় বলা হয়েছিল, এই নতুন নোটে এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যার ফলে একে সহজে নকল করা যাবে না।
কিন্তু সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছর ধরেই বেড়ে চলেছে জাল ৫০০ টাকার নোটের পরিমাণ।বাজারে ক্রমেই বাড়ছে ৫০০ টাকার জাল নোটের পরিমাণ।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার বার্ষিক রিপোর্টে এমনই আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। ২০২০-২১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের তুলনায় জাল ৫০০ টাকার নোট বেড়েছে ৩১.৩ শতাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিসংখ্যান ঘিরে বাড়ছে অস্বস্তি।
প্রসঙ্গত, ৫০০ টাকার নোট নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ২০১৯-২০ সালে যেখানে চিহ্নিত হওয়া মোট জাল নোটের মূল্য ছিল ২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। সেখানে তা এবছরের হিসেবে কমে হয়েছে ২.০৯ লক্ষ টাকা।
৫০০ টাকার নোটটি জাল না আসল; সেটি জানতে আপনাকে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করতে হবে।সেগুলি হল;
1.নোটের পিছন দিকে রয়েছে লালকেল্লার ছবি।
2. নোটের পিছন দিকে বাঁদিকে রয়েছে ‘স্বচ্ছ ভারত’ লোগো।
3. নোটটি আলোয় ধরলে ৫০০ লেখাটা দেখা যাবে।
4. পুরনো নোটের তুলনায় নতুন ৫০০ টাকার নোটে মহাত্মা গান্ধীর ছবি অবস্থান বেশ আলাদা।
5. দেবনাগরী হরফে ৫০০ লেখা।
6.গ্যারান্টি ক্লজ, প্রতিশ্রুতির বয়ান সহ গভর্নরের স্বাক্ষর ও আরবিআই লোগো রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর ছবির ডান পাশে।