নিউজ ডেস্ক: অতিমারী পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে আগস্ট মাসে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে নেওয়া হবে উচ্চমাধ্যমিক। নবান্ন থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, উচ্চ মাধ্যমিকের পর ভরতির বিষয় থাকে, সেই দিক বিবেচনা করে চলতি বছরে মাধ্যমিকের আগেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে হবে উচ্চমাধ্যমিক। পরীক্ষার্থীরা নিজেদের স্কুলেই পরীক্ষা দেবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন থানায় রাখা হয়। স্কুলের থেকে থানার দূরত্ব বেশি হলে নিকটবর্তী প্রশাসনিক ভবনে প্রশ্নপত্র রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি। মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে আগষ্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আবশ্যিক বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া হবে। বাকি বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে পূর্বের রেজাল্টের ভিত্তিতে নম্বর দেবে স্কুল। কমানো হবে পরীক্ষার সময়ও। যেহেতু প্রশ্নপত্র ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে, সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পূর্ণমানের অর্ধেক নম্বরের উত্তর দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
উল্লেখ্য, করোনা সঙ্কটের কথা মাথায় রেখেই গত ১ জুন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব বলে জানিয়েছিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ। সূচি অনুযায়ী কথা ছিল ১ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা, তারপর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ তাদের মতো করে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ১ জুন থেকে হচ্ছে না মাধ্যমিক। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানিয়েছিলেন, এই বিষয় নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি আলোচনা করা হবে।
এরপরেই মধ্য শিক্ষা পর্ষদ জানায়, আগামী ১ জুন থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই। পর্ষদ থেকে জানানো হয়, করোনা আবহে রাজ্যে আংশিক লকডাউন চলছে। বন্ধ রয়েছে একাধিক বাস, ট্রেন। তার মধ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধন্ত নেওয়া হবে সকারের সঙ্গে আলোচনা করেই।
উল্লেখ্য, করোনার জেরে ইতিমধ্যে সিবিএসই এবং আইসিএসই দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের বক্তব্য ছিল, পরীক্ষা নিয়ে উৎকণ্ঠা ক্রমশ বাড়তে থাকায় পড়াশোনায় কার্যত মন বসছে না তাদের। একই কথা জানাচ্ছেন অভিভাবকেরাও। তাই পরীক্ষা আদৌও হবে কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হোক বলেই দাবী ছিল তাদের। তবে পরীক্ষা হচ্ছেই, আর তা হবে সম্পূর্ণ করোনা বিধি মেনেই।