নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলা সাংবাদিকতায় ”ক্রিমিনাল অফেন্স’ ইদানিং প্রায় গা সওয়া। পুলিশ কিংবা সিবিআই(CBI) হাজতবাস করে এসেছেন কুনাল ঘোষ, সৃঞ্জয় বসু, সুমন চট্টোপাধ্যায়রা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফরে গিয়ে রেস্তোরাঁ থেকে রূপোর চামচ হাতাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন নামি পত্রিকার দামি সাংবাদিকও। সেই কলঙ্কে এবার আরও এক মাত্রা যুক্ত হল মঙ্গলবার। ভুয়ো সিবিআই (CBI) আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীর থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে এবার পুলিশের জালে খোদ ‘রিপাবলিক (Republic TV) বাংলা’র সাংবাদিক!
‘রিপাবলিক বাংলা’র এই রিপোর্টার এখন পুলিশের জালে পড়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ওই সাংবাদিককে সাসপেন্ড করেছে চ্যানেল। ‘রিপাবলিক বাংলা’র তরফে টুইটে জানানো হয়েছে,ওই ব্যক্তি চ্যানেলের স্থায়ী কর্মী ছিলেন না।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার।অজিত রায় নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন অভিযুক্ত সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্তের দুই সাগরেদ স্বরূপ রায় ও প্রতীক সরকার। সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নাম করে জোর পূর্বক নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ সিবিআই দপ্তরের নিচে বসিয়ে রাখা হয় ওই ব্যবসায়ীকে।
এরপর অভিষেক সেনগুপ্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক সেজে অজিত রায়ের সঙ্গে দেখা করেন। ঝামেলা মীমাংসা করার জন্য ১ কোটি টাকা দাবি করেন বলেও অভিযোগ।অবশেষে ১৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন ওই ব্যবসায়ী।টাকা দেওয়ার পর সন্দেহ হয় অজিতবাবুর। তিনি এরপরই গোটা বিষয়টি কসবা থানায় জানান।
পরবর্তীকালে পুলিশ অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমেই স্বরূপ ও প্রতীককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।বুধবার সাংবাদিক অভিষেক সেনগুপ্তকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। উল্লেখ্য ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় চ্যানেল পশ্চিমবাংলায় তাদের সম্প্রচার চালু করেছে। অর্নব গোস্বামীর রিপাবলিক টিভি (Republic TV) ‘রিপাবলিক বাংলা’ সেরকমই বাংলায় নতুন। অনেকে অবশ্য মনে করে হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনী লড়াইয়ে উড়তে থাকা টাকা ধরার পাশাপাশি গৈরিক শিবিরকে ফায়দা দিতেই সর্বভারতীয় চ্যানেলগুলির এই বাংলা প্রেম।