নিউজ ডেস্ক: নারদ কাণ্ডের শিরোনামেই রয়েছে তাঁর নাম। সিবিআই যে মামলা দায়ের করেছিল তাতে বলা হচ্ছে মুকুল রায় এবং অন্যান্যর বনাম সিবিআই মামলা এটি। বিষয়টা নতুন কিছু নয় ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি দপ্তর থেকে প্রকাশিত সেই নারদ কাণ্ডে ঘুষ নেওয়ার ছবিতে কিংবা ম্যাথু স্যামুয়েলের সঙ্গে লেনদেন সম্পর্কিত কথোপকথন অবশ্য এখন আর নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
যদিও ততদিনে সিবিআই মুকুল রায়কে মাথায় রেখে মামলা সাজিয়ে ফেলেছিল। এরপর অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। মুকুল, শঙ্কুদেব আর অবশেষে শুভেন্দুও বিজেপিতে। কিন্তু মামলাটা ওই নামেই থেকে গিয়েছে। এমনকি সিবিআই যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তার শিরোনামে রয়েছে মুকুল রায়ের নাম। সেখানে রয়েছে ‘সিবিআই বনাম মুকুল রায় ও অন্যান্যরা’। ফলে তৃণমূলের তরফে ফের প্রশ্ন তোলা হয়েছে কেন এই বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার। করা হল না।
মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতাদের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যাওয়ার সময়ই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি সারদা-রোজভ্যালি আর নারদ কাণ্ডে গ্রেপ্তারি এড়াতেই তাঁদের এই দলবদল? তৃণমূল-বাম-সহ অন্যরা নারদ কাণ্ডে সিবিআই-এর দেওয়া চার্জশিটে মুকুল রায়ের নাম না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
উত্তরে সিবিআই অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছে, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ নেই। মুকুল স্যামুয়েলের সঙ্গে কথা বলেছিল ঠিকই কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়া বাকি চার জনের মত তাঁকে হাত পেতে ঘুষ নিতে বা ঘুষের টাকা অন্যত্র জমা দিতে বলেননি যেমনটা ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন। আদালত সূত্রেও খবর, চার্জশিটের শিরোনামেই উল্লেখ রয়েছে সিবিআই বনাম মুকুল রায় ও অন্যান্যরা। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
প্রসঙ্গত, সিবিআই সোমবার সাতসকালে বাড়ি থেকে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যায় নিজাম প্যালেসে। সেখানে তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়। খবর পেয়েই সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ছয় ঘন্টা সেখানে কাটিয়ে ফেরত যান মুখ্যমন্ত্রী।সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে এই চার নেতার মুক্তির আদেশ দেওয়া হলেও, হাইকোর্ট ওই চার নেতার গ্রেপ্তারি বহাল রাখে। ওই চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করে সিবিআই।
সেই সময়ই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে একই মামলায় কেন মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল না সিবিআই। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণেই কি তাঁদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ, সেই প্রশ্ন করেন তৃণমূল-বাম সবাই।