নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৫ এবং ১৬মে জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৩ জন। আর এর অর্ধেকেরও বেশি জায়গা দখল করেছে মেদিনীপুর এবং খড়গপুর শহর। যদিও গত দুদিনের এই সংক্রমন হারে খড়গপুরকেও ছাড়িয়ে গেছে মেদিনীপুর শহর এবং উত্তরোত্তর এই শহরে যেন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। জেলার সার্বিক চিত্র বলছে এই দু’দিনে আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় ৪৮৬, আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় ৪১৬ এবং ট্রুনাট পরীক্ষায় ৭১ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে খড়গপুর এবং মেদিনীপুর শহরে প্রায় সাড়ে ৫০০জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।
গত ৪৮ ঘন্টায় মেদিনীপুর শহরে অন্ততঃ ৩৩০জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৪০ জনের ঠিকানায় শুধুই মেদিনীপুর শহর উল্লেখ করা হয়েছে। শহরের সর্বোচ্চ সংক্রমন ধরা পড়েছে কুইকোটা এলাকা থেকেই। ১৫ তারিখ এই এলাকা থেকে ১১জন এবং ১৬তারিখ ১৩জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। অন্যদিকে শহরের আরেকটি সংক্রমিত হবিবপুর থেকে ২দিনে ১৪জন আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে ১৬ই মে তেই ১০জন আক্রান্ত চিহ্নিত হয়েছেন।
কুইকোটার লাগোয়া আবাস অঞ্চল থেকে ২দিনে ৯জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে। রামকৃষ্ণনগরে রবিবার একই সঙ্গে ৭জন আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এখানে আগের দিন মাত্র ১জন আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছিল।
৮জন আক্রান্ত পাওয়া গেছে শরৎপল্লী এলাকা থেকেও।
গত ৪৮ ঘন্টায় শহরে ৭জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে পুলিশলাইন, নজরগঞ্জ,ধর্মা থেকে। ৬ জন করে আক্রান্ত কেরানীচটি, মিঞাবাজার, সুজাগঞ্জ, রাঙামাটি থেকে। এখানে সুজাগঞ্জ এলাকায় আক্রান্ত বাড়ার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। আগে এই এলাকায় একসাথে এত আক্রান্ত পাওয়া যায়নি। ৪ এবং ৫ জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে তোলাপাড়া, অরবিন্দনগর, সিপাইবাজার,
নতুনবাজার, বিধাননগর, স্কুলবাজার , ঈশ্বরপুর এলাকা থেকে। নূন্যতম ৩জন আক্রান্ত গোলকুয়াচক,পালবাড়ি, মহাতাবপুর, গিরিধারিচক, বার্জটাউন, হোমিওপ্যাথি কলেজ, বিদ্যাসাগরপল্লী, ছোটবাজার, কর্নেলগোলা এলাকা থেকে।
এক বা একাধিক নতুন আক্রান্ত হয়েছেন জজকোর্ট, রবীন্দ্রনগর ,বল্লভপুর, জগন্নাথপুর, সুকান্তপল্লী, তলকুই, অলিগঞ্জ, নানুরচক, মিত্র কম্পাউন্ড, পাহাড়িপুর , কামারাড়া, কেরানীতলা, বরিশাল কলোনি, কোতয়ালী থানা, বক্সীবাজার, রাজাবাজার , বড়বাজার, সনতবন, আমতলা , পাটনাবাজার , মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেল, অশোকনগর, আমড়াতলা ( বিশ্ববিদ্যালয়) , ,বটতলাচক, তাঁতিগেড়িয়া, ক্ষুদিরামনগর , মির্জাবাজার সেকপুরা, ফকিরকুয়া, মেডিক্যাল কলেজ , সূর্যনগর এলাকা থেকে।
গ্রামীন মেদিনীপুরের যে গ্রাম বা এলাকা থেকে আক্রান্তের ( সংখ্যা পাশে উল্লেখ করা হয়েছে) সন্ধান মিলেছে
বেনেপুকুর, ভালকি, পাচলা, চাইপুর (২), নরমপুর, চাঁদড়া, গুড়গুড়িপাল, পলাশবনী, পাড়রি, দেপাড়া (২), সিজুয়া, জরদাবা, শিরোমনি, পানপাড়া (৩), নিশ্চিন্তপুর, গোপগড়(৪), কালগাঙ (৩), যমুনাবালি, শিরীষবয়ান, মাতালডাঙা (২)থেকে।
খড়গপুর শহরে গত ২দিনে যে নূন্যতম ২২০ জন নতুন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে ৯৫ জনই রয়েছেন রেলকর্মী অথবা তাঁদের পরিবার আর ১৬জন আইআইটি হাসপাতাল সূত্রে সংগৃহিত নমুনা থেকে পজিটিভ পাওয়া গেছে। শহরের সর্বাধিক সংক্রমনের আওতায় রয়েছে সেই ইন্দা এলাকাই। গত দুদিনে ইন্দা এলাকায় আক্রান্ত ২৪জন। এই এলাকার ৩ জন প্রান্তিক ক্লাব সংলগ্ন, কমলাকেবিন এলাকায় ৩জন , বিদ্যাসাগরপুরে ৫ জন ছাড়াও আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে খড়্গেশ্বর মন্দির, জফলা রোড, আনন্দনগর থেকে। এরমধ্যে ১৪ই মিলেছে রবিবার। পরের সর্বাধিক আক্রান্ত মালঞ্চ এলাকা। রবিবার ৯ জন আক্রান্ত সহ ২দিনে ১৬জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। ভবানীপুর, নিমপুরা থেকে ৬ করে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। মথুরাকাটি, তালবাগিচা , সোনামুখী ঝুলি, নিউ ডেভলপমেন্ট থেকে ৫জন করে পজিটিভ পাওয়া গেছে। বিধানপল্লী, বাজার সহ খরিদা এবং ছোট ট্যাংরায় আক্রান্ত ৪জন।
বারবেটিয়া, পদ্মপুকুর, সুভাষপল্লী, মহকুমা হাসপাতাল আবাসন, রাজগ্রাম থেকে ৩জন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। এক অথবা একাধিক আক্রান্ত পাওয়া গেছে ট্রাফিক , জয়হিন্দনগর , ভগবানপুর , ওল্ড সেটেলমেন্ট , গোলবাজার, নিমপুরা , বুলবুলচটি, আয়মা, ছোট আয়মা, প্রেমবাজার , সাউথ সাইড, গোলবাজার, কৌশল্যা , ছোট আরামবাটি , দুর্গাপুর , হিজলী সমবায়, রবীন্দ্রপল্লী, ঝাপেটাপুর, গাইকাটা, দেবলপুর , নিউ বাসস্ট্যান্ড, ৩৬পাড়া থেকে। নির্দিষ্ট ঠিকানা বিহীন খড়গপুর শহর থেকে পাওয়া গেছে ১০জনের নাম। আক্রান্ত বেশ কিছু ব্যক্তি যাঁরা রেল আবাসনের বাসিন্দা রয়েছেন যে আবাসনগুলি শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত।
গ্রামীন খড়গপুরের আক্রান্ত এলাকা এবং সংখ্যা নিম্নরূপ ঘাগরা, পূর্ব সোনামুখী ২, সালুয়া ২, জকপুর, সোফিয়াবাদ, বড়গেড়িয়া মাদপুর, টাটা মেটালিক আবাসন শ্যামরাইপুর, বড়কলা ৩, বরগাই, নো শুটিং, মাতকাতপুর, মৌলিশোল, সালাগেড়িয়া রাউৎমনি, চক অর্জুন, টাটামেটালিক আবাসন শ্যামরাইপুর ২, বরগাই, মাতকাতপুর, বসন্তপুর, ওয়ালিপুর, ডিমৌলি, বেনাপুর, গোকুলপুর, গোপালী, রাউৎমনি, সাদাতপুর, শ্যামেশ্বর পুর, তেঁতুলমুড়ি, কেশপাল,
এবার দেখে নেওয়া যাক জেলার থানাগুলির অন্তর্গত গ্রাম এবং আক্রান্তের সংখ্যা। গড়বেতা থানার গড়বেতা সদরে ৭, বিলা ৩, চন্ডী সানমুড়া ৪, চাঁদাবিলা, বাঁশডিহা, স্টেশনপাড়া, নিশ্চিন্তপুর ২, লাপুরিয়া, আমলাগোড়া ৩, লেদাগামার ৩, বড়ামুড়া, পানিকোটর, ধলমা, রাধানগর ৪, গনকবাঁধি, লক্ষ্যাটাপোল, মঙ্গলবাঁধি, চাঁচাগোট, দ্বারিগেড়িয়া ৩, নয়াবসাত, ছোট ডাবচা ২, বড়ডাবচা ৩, দুর্লভগঞ্জ ৪, সাতবাঁকুড়া ২, ওড়গাঁজা ২, খাস্তগুড়া ২,, কিয়াবনি, চাঁদাই ৭, ঝাড়বনী, মল্লা ২, মঙ্গলপুর ২, রাউলিয়া ভুলা, আমকোপা, জুনশোল, লক্ষনপুর, শুকনাতোড়, চন্দ্রকোনা বনদপ্তর, মানিকবাঁধ, সালডহরা, কাঁকড়াশোল ২, বাঁধগোড়া ২, গোয়ালতোড় সদরে আক্রান্ত ৫জন।ওই থানার বাকি গ্রাম গুলিহল মঙ্গলপুর, দোবাটি, দেবগ্রাম ২, যাত্রা বিষ্ণুপুর ২, নাগদোনা, ভান্ডারপুর, বাবুইবাসা, ছোট নাগদোনা, বালিবাঁধ ২, চাতনি ৩, খেসলা, গোয়ালডাঙা, লোগেনোহারি, কেজলা, কুসুমডাঙা , মেটালডোবা,। বুলানপুর, শালবনি, নিশ্চিন্তপুর, কুপাগেড়িয়া, বির্থমা, গোদাপিয়াশাল, পিংবনী, রুপাঘাগরা, শালবনী: শালবনী সদরেই আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন। ট্যাঁকশালে ফের ১০জন আক্রান্ত হয়েছেন। জিন্দাল ৪, ডাঙরপাড়া, গড়মাল ২, পিড়কাটা, বালিবাঁধ, গড়মাল, পিড়াকাটা, কুলফেনি, গোদাপিয়াশাল, সিজুয়া থেকে আক্রান্ত পাওয়া গেছে।কেশপুর থানার কেশপুর সদরেই আক্রান্ত ১জন। আনন্দপুরে ৪ জন, মুগবসান ও রঞ্জিতায় আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।
খড়গপুর মহকুমার ডেবরায় আক্রান্ত সর্বাধিক ৩২জন। ডেবরা সদর ছাড়াও আক্রান্ত পাওয়া গেছে ভোগপুর, ভরতপুর, আকালপৌষ, চকলালপুর ৩, রুইগেড়িয়া , পাইকপাড়ি, মানকুন্ডু, ত্রিলোচনপুর আঁতলা, হারাতলা. ভগিরথপুর, অলিসাগড়, সত্যপুর, বাড়ভূইঁয়াবসান ২, চককৃষ্ণদাস, ডিঙল, গয়েশপুর, দোগেড়িয়া, বরাগড়, ইয়ারপুর, কলকুড়িয়া, পাঁচগেড়িয়া, ডুঁয়া, গঙ্গারামচক, দাবলপুর বালিচক, বালিচক, বাকলসা, পশ্চিম বৈতা থেকে।
সবং থানার সদর থেকে ১ আক্রান্ত ছাড়াও তেমাথানি, ভিকনি নিশ্চিন্তিপুর, আন্দুলিয়া, জোতজান থেকে আক্রান্ত পাওয়া গেছে। বড়ছড়ায় একসাথে আক্রান্ত ৩ জন। পিংলা সদরে আক্রান্ত ৫জন। এছাড়াও ওই থানার মাধবচক, ভুসুলিয়া, দক্ষিণ কালপুনজা, টুঙুর, কুসুমদা থেকে ১জন করে এবং মালিগ্রাম ও জনহাট থেকে ২ জন করে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে।
এবার খড়গপুর মহকুমার দক্ষিণের ৫টি থানায় আক্রান্তের সংখ্যা দেখে নেওয়া যাক। বেলদা সদরেই আক্রান্ত ৩জন। এছাড়াও মহম্মদপুর থেকে ৩ আক্রান্ত হয়েছেন। খাকুড়দা, নবোদয়পল্লী ও তুতরাঙা থেকে ২জন করে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। আক্রান্ত পাওয়া গেছে
ঠাকুরচক, উপাইগতপুর,বলরামপুর, কালীবাগিচা, বাখরাবাদ, নারায়ণগড়, খুড়শি, দেউলি, সালাজপুর, দইসন্ডা, , কসবা আসন্দা, চকমুকুন্দ, হাতিখেদা, সবুজপল্লী, চন্নেশ্বরপুর থেকেও। নারায়নগড় থানার নারায়নগড়, বড়কলঙ্কাই, বড়ামারা দাঁতন থানার জানা দীঘি চক ইসমাইলপুর , আঙ্গুয়া ২, রোদনপুর, ঝিনুক পলাসিয়া, বিরভদ্রপুর এবং মোহনপুর থানার আঁইকোলা, তনুয়া ৩, মোহনপুর ২, রামপুরা. কিয়া, ডুমডুম ২, গোমুন্ডা ৫, উচিতপুর থেকে এবং
কেশিয়াড়ী সদরে ১জন আক্রান্ত ছাড়াও আক্রান্ত পাওয়া গেছে সাঁতরাপুর, তানাপুর, পচাখালি, বেগমপুর, মামুদপুর, কালরুই, কাশীপুর, আলিনগর, কুমারহাটি, ডিহি কেশিয়াড়ী, এলাসাই (৩), দাদরা (২) থেকে।
গত ৪৮ ঘন্টায় ঘাটাল মহকুমার তিন থানায় প্রায় ১২৫ জন আক্রান্ত। চন্দ্রকোনা থানার চন্দ্রকোনা পৌর এলাকায় ৫জন ও ক্ষীরপাই পৌরসভায় আক্রান্ত ১৬জন। এছাড়াও ধুলিয়াডাঙা (২), আমড় (৩), খিড়কিবাজার, সতীবাজার (২), ভমরাডাঙা (২), কালাকড়ি , রাধাবল্লবপুর, জয়ন্তীপুর (২) , কৃষ্ণপুর, বাগপোতা, পারুলিয়া, লক্ষীপুর (২), কুলডিহা, চাঁদা, গামারিয়া, বড় বাজার, নয়াগঙ্গা, রামজীবনপুর, রাধানগর, নিত্যানন্দপুর, পুড়শুড়িতে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। দাসপুর থানার জয়রামচক (২), সয়লা, গোপালপুর, সিংহচক, তাজপুর, গোমাকোপ্তা (২), রানিচক, পালাপাল, শ্রীপুর, বেনাই, উত্তরবাড়, গোছাতি (৩), সাহাচক, দক্ষিণবাড়, সীতাপুর (২), কেলেগোদা (২), জগন্নাথপুর, বেনাই, রাজনগর, নারায়নচক, খঞ্জপুর, পাঁচগেছিয়া, বৈকুণ্ঠপুর, নাড়াজল (২), চাইপাট, রাধাকৃষ্ণপুর, ভরতপুর, তাতারখান (২) থেকে আক্রান্ত পাওয়া গেছে।
ঘাটাল থানার উদয়চক খড়ার, কোন্নগর (৫), নন্দীপুর, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল (৩), মোহনপুর গোপমহল, কুশপাতা (৩), খড়ার, পাইকান লক্ষী, মোমরাজপুর, সিংহপুর, কুশমান (৩), কুরান, মরিচ্যা, । রানি বাজার, শ্যামসুন্দরপুর, হরেকৃষ্ণপুর, শীতলাপুর, হাজরাপাড়া, খাড়গম্ভীরনগর (৩), গোপমহল, দুধেরবাঁধ, সুদামবাটি, গোবিন্দপুর (২), শ্রীরামপুর, সয়লাগেড়িয়া থেকে নতুন করে আক্রান্ত পাওয়া গেছে।