নিউজ ডেস্ক: শেষ রক্ষা হলনা শেষ অবধি, সারাদিনের টানাপোড়েন শেষে জেলই ঠিকানা হল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মেয়র শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। নিম্ন আদালত এঁদের জামিন মঞ্জুর করলেও তার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট আর তার ফলেই স্থগিত হয়ে গেল ফিরহাদ সহ ৪ হেভিওয়েটের জামিন। সিবিআইয়ের আবেদনে সারা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। বুধবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাঁদের।
সোমবার সকালে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার পর থেকে নিজাম প্যালেসে ভিড় জমান তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের অফিস ঘেরাওয়ের পাশাপাশি দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হয়ে পরিস্থিতি। সিবিআই গ্রেফতার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল এগারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে পৌঁছন। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর আদালতে নারদ মামলার শুনানি যখন শেষের মুখে তখন নিজাম প্যালেস থেকে বের হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকালে গ্রেফতার করা হলেও সন্ধ্যের দিকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে জামিন মঞ্জুর হয় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। জামিন মঞ্জুর করার খবর শুনে মিষ্টি বিতরণও করেন নিজাম প্যালেসের বাইরেই অপেক্ষারত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তবে জামিন মঞ্জুরের পর পরই শোনা যাচ্ছিল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে সিবিআই। আর সেটাই করে তারা। এদিন ৪ নেতা-মন্ত্রীদের নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের অফিস ঘেরাওয়ের পাশাপাশি দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি, তাকেই সাধারণত হাতিয়ার করে সিবিআই।
হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিবিআইয়ের আবেদন, গ্রেফতারির প্রতিবাদে নিজাম প্যালেসের অফিস ঘেরাও হয়েছে, হুমকি দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। হাইকোর্টের নির্দেশেই তদন্ত করছে সিবিআই, কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে তদন্ত সম্ভব নয়। আর সেই আবেদনেই সাড়া দিল উচ্চ আদালত। এদিকে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানিয়ে দিয়েছেন এরাজ্যে সুষ্ঠ ভাবে মামলা চালানো সম্ভব নয়। তাই মনে করা হচ্ছে নারদ মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।