অরুণ কুমার সাউ : পুলিশ ও প্রশাসনের বারংবার সচেতনতা তৈরির চেষ্টা, সেফ ড্রাইভ ও সেভ লাইফ প্রচারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বেপরওয়া বাইক চালানোর মাশুল দিল ২টি তাজা প্রান। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আরও ১জন । বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ এই মর্মান্তিক হলদিয়া মেচেদা রাজ্য সড়কের ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার চৈতন্যপুর বাজার সংলগ্ন চৌরঙ্গীতে। মৃত ২ বাইক আরোহী গোবিন্দপুর গ্রামের একাদশী পড়ুয়া(২৭) ও তাপস পড়ুয়া(২৫) অপরদিকে গুরুতর আহত যুবক দেউলপোতা গ্রামের বিশ্বজিৎ মণ্ডল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন , ঘটনার সময় রাজ্য সড়ক ধরে বাঁকুড়া থেকে হলদিয়ার দিকে আসছিল অভিষেক নামের বাসটি। আর প্রায় একই সময়ে উল্টো দিক থেকে একটি নীল রঙের টিভিএস অ্যাপাচি বাইকে তিন যুবক দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল। চৈতন্যপুরের বাড় জুয়েলার্সের সামনে বাসটি যখন বাস স্টপেজের কাছাকাছি হঠাৎই নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দুরন্ত গতিতে তিন আরোহী সমেত বাইকটি সরাসরি বাসের সামনের অংশে ধাক্কা মেরে বাসের তলায় ঢুকে যায়। আর প্রচণ্ড সংঘর্ষের অভিঘাতে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে তিনজন।
স্থানীয় মানুষরা জানান, বাইকটি এতটাই দ্রুতগতিতে ছিল যে বাসের নিচের ইস্পাতের অংশ ভেঙে নিচে পড়ে যায়। অন্যদিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে যায় বাইকের সামনের অংশ। ধাক্কার পরে তিন বাইক আরোহী অন্তত পাঁচ ফুট ওপরে উঠে কয়েক মিটার দুরে ছিটকে পড়ে। চালক সহ তিনজনের কারুরই মাথায় হেলমেট না থাকায় থেঁতলে যায় তিনজনেরই মাথা। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থলেই প্রান হারায় এক বাইক আরোহী।
এদিকে খবর পেয়েই ছুটে আসে সুতাহাটা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে হলদিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় আরেক যুবকের। ঘটনায় আরো একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ আধিকারিকরা অত্যন্ত খেদের সঙ্গে জানিয়েছেন, ” তিনজনের কেউই হেলমেট পরেনি এবং অত্যন্ত দ্রুত গতিতে বাইক চালাচ্ছিল। হঠাৎ করে লেন পরিবর্তন বাইক গিয়েই আরোহীরা উল্টো দিকে বাসের সামনে চলে আসে । পুলিশ জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান অনুযায়ী মদ্যপান করেই বে সামাল হয়েছিল চালক যদিও পুলিশের বক্তব্য বাইক আরোহী মদ্যপান করেছিল কিনা তা ময়নাতদন্তের পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে। অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর হওয়ায় বিশ্বজিৎকে তমলুকের জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।