নিউজ ডেস্ক: বিজেপির আক্রান্তরা কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, বক্সিরহাট থেকে অনেকেই আতঙ্কে অসমে আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার সেই রাজ্য ছাড়াদের সঙ্গে দেখা করতে অসমের আশ্রয় শিবিরে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অসমের রাঙাপানি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিবিরে রয়েছেন তারা। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে অসমের পুলিশ, প্রশাসনের পদস্থ কর্তারাও ছিলেন। কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে অসমে যান। আক্রান্ত ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। এদিকে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার সময় আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিশেষত মহিলারা এদিন রাজ্যপালের কাছে সন্ত্রাসের নানা বিবরণ দেন।
তাঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্যপাল নানাভাবে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। মুখ্য়মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ‘আমি চাই না এই সন্ত্রাসের ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হোক। তাঁদের মধ্য়ে আস্থা ফিরিয়ে আনুন। হাত জোড় করে বলছি ফিরে যান। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া অবস্থায় রয়েছেন। তাঁরা এদিক ওদিকে আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। তাঁদেরও নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে অনুরোধ করছি। মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি, আমাদের মধ্যে যৌথ উদ্যোগ থাকা দরকার। ‘
রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বেনজির সংঘাতে জড়িয়েছেন ধনখড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর সেই সংঘাত কমার বদলে আরও বেড়েছে। শপথের দিন থেকেই ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুরু করেছেন রাজ্যপাল। কার্যত রাজ্য প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই রাজ্যের ‘হিংসা কবলিত’ এলাকাগুলি পর্যবেক্ষণে বেরিয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাজ্য ও রাজ্যপালের এই দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে।.বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে অসমে গিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে গিয়েছেন ধনকড়।
ধনখড়ের এই ‘শরণার্থী শিবির’ সফর নিয়ে সরব রাজ্যের শাসকদল। তাঁদের দাবী, বেছে বেছে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন রাজ্যপাল। তৃণমূল কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন, অথচ তা নিয়ে মাথাব্যাথা তাঁর নেই। তৃণমূল সাংসদ শুখেন্দু শেখর রায় আবার সরাসরি ধনকড়ের অপসারণও চেয়েছেন।