নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০১৫ সালে খড়গপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিজেপির জিতে আসা সাতজন কাউন্সিলরের মধ্যে ৫জনকে নিজেদের দলে নিয়ে পুরবোর্ড গঠন করেছিল সংখ্যালঘু তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের দল থেকে জিতে দলীয় কাউন্সিলরদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পেছনে পুলিশের হাত ছিল বলে আভিযোগ করে বিজেপি। বিজেপির আভিযোগ তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের প্রত্যক্ষ মদতে খুন ধর্ষন সহ একাধিক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি আর বিপুল টাকা ও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপির কাউন্সিলরদের দলত্যাগে বাধ্য করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২০তে ফের সেরকম ঘটনা ঘটলে পুলিশকে তার চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে বলে প্রকাশ্য হুমকি দিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
বুধবার খড়গপুর শহরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে এসে সায়ন্তন বলেন, ”একটা কথা স্পষ্ট শুনে রাখুন পুলিশ প্রশাসন যদি মিথ্যা মামলায় আমাদের কর্মীদের জড়ানোর চেষ্টা করে তবে যে পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে এটা হবে সেই পুলিশ আধিকারিকের আমরা ক্ষমতা আসার পরে কি অবস্থা করি, তাদের কি হাল হয় তা দেখে নেবেন। তারা যেন সতর্ক থাকে কারণ এখন যা করছে তার ফল দ্বিগুণ আকারে তাদেরকেই ভোগ করতে হবে।”
আত্মপ্রত্যয়ী বসুর হুংকার, ‘ ২০২১ সালের পর ওই আধিকারিকদের কেউ বাঁচাতে পারবে না তার কারন তখন কেন্দ্রীয় আমাদের সরকার রাজ্যর সরকারটা আমাদের হবে এটা যেন তাঁরা মাথায় রাখেন।” পুলিশের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ।
খড়গপুরে পুরসভার আগে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে এসে সায়ন্তন বসুর এই হুঁশিয়ারি নিশ্চিতভাবেই সদ্য হয়ে যাওয়া খড়গপুর শহর বিধানসভা উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়া বিজেপি কর্মীদের ভোকাল টনিক হিসাবে কতটা কাজ করবে তা এখুনি বলা সম্ভব না হলেও তিনি নিজে যে বেফাঁস মন্তব্য করে কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যেতে পারেন তেমন সম্ভাবনা থেকেই গেল।
পুরসভা নির্বাচনের আগে পুরনো কর্মী সমর্থকদের এবং ৩৫ টি ওয়ার্ডের সংগঠকদের নিয়ে খড়্গপুরের একটি বেসরকারি লজে বসুর সঙ্গে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাহুল সিনহা, রাজ্যের অন্যতম নেতা ও খড়গপুর শহরের সংগঠক তুষার মুখার্জি, জেলা সভাপতি শমিত দাস প্রমূখরা।
এবারের পুরসভা নির্বাচনে মাফিয়া এবং পুলিশকে দেখিয়ে আর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আটকানো যাবে না বলে হুংকার দিয়ে যান রাহুল সিনহা। তাঁর দাবি এই পুর নির্বাচনে পৌরসভা দখল করবে বিজেপিই।