নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল ও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করল। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কঠিন ভোট-পরীক্ষায় বিপুল সাফল্যের পরও তৃণমূলের দলের মধ্যে কোন্দল অব্যাহত।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মোট ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ৯টি তৃণমূল জিতেছে। ৭টি-তে জয়ী হয়েছে বিজেপি।এই প্রেস্টিজ ফাইটে বিজেপিকে তলে তলে সাহায্যের অভিযোগে, খেজুরির প্রাক্তন বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল ও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।
এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল, ওরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে, তিনি নিজে পদত্যাগ করলে ভালো, না হলে অনাস্থা এনে ওনাকে সরানো হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারী-জেলার রাজনীতিতে দুজনেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার মধ্যেই তাঁর একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গেছে এই দুই নেতাকে। বিধানসভা ভোটে, রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারী এই দুই তৃণমূল নেতার ঘরের মাঠ খেজুরি এবং হলদিয়াতে বিজেপি প্রার্থীদের কাছে হেরেছে তৃণমূল।
এছাড়া খেজুরিতে তৃণমূলের পার্থপ্রতিম দাস, বিজেপির কাছে হেরেছেন ১৭ হাজার ৯৬৫ ভোটে। হলদিয়ায় বিজেপির তাপসী মণ্ডল ১৫ হাজার ৮ ভোটে হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী স্বপন নস্করকে।এই হারের জন্য তৃণমূলের পর্যালোচনা বৈঠকে কাঠগড়ায় তোলা হয় রণজিৎ মণ্ডল ও আনন্দময় অধিকারীকে।