নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণা এবং মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের পর সরিয়ে দেওয়া হল কোচবিহারে পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে। তার জায়গায় আসছেন কে কান্নন। তিনি এর আগে কোচবিহারের পুলিশ সুপারের দায়িত্ব সামলেছিলেন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরই নির্বাচন কমিশনের তরফে কে কান্ননকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়। সেই জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছিল দেবাশিস ধরকে। নির্বাচনের পালা মিটতেই দেবাশিস ধরকে পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। বুধবার একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই ঘোষণা করা হয়। তবে দেবাশিস বাবুকে কোথায় পোস্টিং দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কোনও উল্লেখ নেই। দেবাশিস ধর বলেন, ‘আমার ট্রান্সফার হচ্ছে। তবে কোথায় হচ্ছে জানা নেই।’
শীতলকুচির ঘটনার জেরে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্যের তরফে। কোচবিহারের নয়া পুলিশ সুপার করা হল আইপিএস কে কান্নানকে।
উল্লেখ্য, শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন চার তৃণমূল কর্মী। এরপরই ভোটে জিতে মমতা সরাসরি কোচবিহারের এসপি-র বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগও তুলেছিলেন। শীতলকুচির ঘটনার জন্যেও পরোক্ষ ভাবে তাঁকেই দায়ী করেছিলেন মমতা। ‘পরে দেখে নেওয়ার’ও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই আবহে রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদে রদবদল প্রত্যাশিত ছিল।
অন্যদিকে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই কোচবিহার জেলাজুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। কয়েকশো বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল-বিজেপি উভয় দলের বিরুদ্ধেই। এই ঘটনাগুলি নিয়েও বারবার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণে পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।