নিউজ ডেস্ক: একেই কোভিড ভ্যাকসিনের হাহাকার সমগ্র উত্তরে। তারপরেও শোনা গেল না কোনো আশার বাণী।আগামী মে থেকে জুন মাস সাবধানতা অবলম্বনের কথা বললেন উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়। তিনি আশঙ্কা করছেন আগামী ২৫ মে থেকে জুনের ১৫ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি জলপাইগুড়িতেও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে চলেছে করোনা পরিস্থিতি বলে তার অনুমান।
শুক্রবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান উত্তরবঙ্গের করোনা বিষয়ক স্পেশাল অফিসার ডাঃ সুশান্ত রায়। তিনি জানান, জলপাইগুড়িতে এই মুহূর্তে অক্সিজেন ও বেডের কোনও সমস্যা নেই। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে আগামী এক মাসের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে অক্সিজেন তৈরির প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে।
জলপাইগুড়িতে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ শুক্রবারও বন্ধ রয়েছে।বর্তমানে জলপাইগুড়িতে শুধুমাত্র নির্ধারিত সংখ্যক কিছু মানুষকে করোনার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ চলছে। শুক্রবার সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনেকে। তবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ভ্যাকসিন কম থাকায় সকলকে টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে জলপাইগুড়িতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এই নিয়ে পুরসভা ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে নানাভাবে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে প্রতিদিন।
কম বয়সীদের আপাতত এখন করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না, বলে জানালেন ওএসডি। ডাঃ সুশান্ত রায় জানান, জলপাইগুড়িতে নতুন করে দশ হাজার ভ্যাকসিন আসছে। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এলাকা ভিত্তিক কনটেমেন্ট জোন লাঘু করা হবে জলপাইগুড়িতে।