নিজস্ব সংবাদদাতা: ভুয়ো ভোটার দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে ভোট করানোর চেষ্টা। অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাও এক নয়। দু’ দুটো বুথে। জানা যায়, বুথে ভোটদান করতে এসে ব্যক্তি দেখেন তার ভোট অন্য কেউ ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে টেন্ডার ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরলেন এক ভোটার। সোমবার এই ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন বিধানসভা কেন্দ্রের পতিরাম থানা এলাকার ৯০নং হরিহরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে। অপরদিকে আরও একটি বুথে ভুয়ো ভোটারকে হাতে নাতে ধরে ফেলা হয় বলে খবর।
সোমবার বঙ্গে সপ্তম দফার নির্বাচন। এদিন হরিহরপুর এলাকার বাসিন্দা আজারুদ্দিন মিঞা ভোটদান করার জন্য ৯০নং হরিহরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথে গেলে জানতে পারেন তার ভোটগ্রহণ ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে অর্থাৎ তার পরিবর্তে অন্য কেউ ভোটদান করেছে। আজারুদ্দিন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান ৯০নং হরিহরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে। এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐ বুথে কিছুক্ষণের জন্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরপর আজারুদ্দিন নামের ওই ভোটার স্থানীয় বুথ লেভেল অফিসারের সহযোগীতায় বিষয়টি সেক্টর অফিসারকে জানালে ঘটনাস্থলে সেক্টর অফিসাররা পৌঁছে তার চ্যালেঞ্জ টেন্ডার ভোটদানের ব্যবস্থা করেন, যার পরে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।
প্রিসাইডিং অফিসার সুবীর মাহাতো জানিয়েছেন, আজারুদ্দিন মিঞার ভোট কেউ একজন দিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা একজন নামে তো দুই জনের ভোট নিতে পারি না সেই কারনে আমরা সেক্টর অফিসারকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম এবং এরপরে সেক্টর অফিসার এসে তার জন্য চ্যালেঞ্জ ভোটের ব্যবস্থা করে দেন।“
এদিকে, তৃণমূলের মদতে ভূয়ো ভোটারকে দিয়ে ভোট দান করানোর চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে অন্য একটি বুথে। ঘটনাস্থলে সাধারণ ভোটাররা হাতে নাতে ধরে ফেলে ভূয়ো ভোটারকে। এই ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫২নং উদয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। অভিযোগ কুমারগঞ্জের মোল্লা দিঘি এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ বর্মণ তার নিজের বুথ ছেড়ে উদয়পুর বুথে ভোট দিতে আসেন।
উদয়পুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জরুল মিঞার অভিযোগ, ভূয়ো ভোট দেওয়ার জন্য কৃষ্ণ বর্মণ উদয়পুর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এসেছে। যদিও অভিযুক্ত কৃষ্ণ বর্মণ-এর বক্তব্য তার বাড়ি মোল্লা দিঘি এলাকায়। তাকে উদয়পুর বুথে ভোটদান করতে বলেছিল। তবে কে বা কারা তাকে উদয়পুর বুথে ভোটে দিতে যেতে বলেছিল সেবিষয়ে তিনি পরিস্কার করে কিছু না বললেও এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অপরদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, তৃণমূলের দরকার পড়ে না ভুয়ো ভোটারের।