নিজস্ব সংবাদদাতা: হাতে মাত্র একদফার ভোট কিন্তু তাতেও কোপ পড়ল পুলিশের ওপর। আগের ধারা বজায় রেখেই পুলিশে রদবদল করল নির্বাচন কমিশন। আগামী বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলায় ভোটগ্রহণ। তার ৪ দিন আগে জেলার দুই থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক-সহ মোট ৩ জন আধিকারিককে বদল করল কমিশন। যদিও ওই ৩ আধিকারিকের মধ্যে ১জনকেই কেবলমাত্র অন্য একটি থানার দায়িত্ব আনা হলেও বাকি ২জনকে এখনও অবধি কোনও দায়িত্বে আনা হয়নি।
লক্ষণীয় যে এই দফার রদবদলের পুরো কোপই পড়েছে তৃনমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেষ্টর গড় বলে পরিচিত বীরভূমেই। ওই জেলার নলহাটি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শেখ মহম্মদ আলি বেশ কিছুদিন আগে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসাধীন ওই অধিকারিককে সরিয়ে রয়েছেন তাঁর জায়গায় দায়িত্বে আনা হয়েছে জয়দেব ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা রঞ্জিত বাউরিকে। আর জয়দেব ফাঁড়ির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রামপুরহাট থানার সাব ইন্সপেক্টর বিপ্লব দত্তকে।
তারই পাশাপাশি দুবরাজপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবব্রত সিংহকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে বোলপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর প্রসেনজিত দত্তকে। তবে আপাতত দেবব্রতকে কোথাও পোস্টিং দেওয়া হয়নি। রাজ্যে নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে থেকেই পুলিশ মহলে একাধিক রদবদল করেছে কমিশন। এই বদল নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ দফার ভোটের আগেও জারি থাকল এই বদলের ধারা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিন আগেই অভিযোগ করেছেন কমিশন এই পুলিশের রদবদলের মারফৎ আসলে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেকেই চরিতার্থ করতে চাইছেন। বিজেপি যাদেরকে চাইছে তাদেরকেই দায়িত্বে আনা হচ্ছে অথবা সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি কিছু পুলিশ আধিকারিকের চ্যাটও সম্প্রতি ফাঁস করে জানিয়েছেন কিভাবে কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক, বিজেপি ও কমিশন মিলে তাঁকে হারানোর চক্রান্ত করছে। বিজেপির তরফে অবশ্য সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, শাসকদলের হয়ে কাজ করছে এমন কিছু পুলিশ আধিকারিকের নাম কমিশনকে জানিয়েছিলেন মাত্র।