Homeএখন খবরলকডাউনের পথে দিল্লি এবং রাজস্থান! লকডাউনে যেতে পারে আরও কয়েকটি রাজ্য

লকডাউনের পথে দিল্লি এবং রাজস্থান! লকডাউনে যেতে পারে আরও কয়েকটি রাজ্য

বিশ্বজিৎ দাস:-ভয়াবহ সংক্রমনের কবলে পড়ে গিয়েছে রাজধানী দিল্লি এবং মরুরাজ্য রাজস্থান। গতবছর ২২ মার্চ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন ছিল দিল্লিতে। ধাপে ধাপে তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমন যে হারে বাড়ছে তা সামাল দিতে ফের লকডাউনের পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল দিল্লী। সোমবার সকালে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সোমবার রাতে থেকে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ কার্ফু জারি থাকবে দিল্লিতে।

রবিবার দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হয় ২৫ হাজার ৪৬২ জন। এই মুহূর্তে শহরে প্রতি তিনটি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে একটিতে পজিটিভ রেজাল্ট আসছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে সপ্তাহান্তে কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছিল দিল্লি সরকারের তরফে। কিন্তু, তাতেও শহরের কিছু জায়গায় একাংশ মানুষ করোনাবিধি লঙ্ঘন করছিল। কাজেই, নিয়মের কড়াকড়ির প্রয়োজন বোধ করে সরকার।

এই সময়ের মধ্যে সমস্ত বেসরকারি অফিসের কাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে করতে হবে। তবে সরকারি অফিস এবং অত্যাবশ্যকীয় সেক্টর খোলা থাকবে।

দিল্লির পাশাপাশি লকডাউনের পথে রাজস্থান সরকারও। সোমবার থেকে আগামী ৩ মে পর্যন্ত কড়া লকডাউন জারি করলো রাজস্থান সরকার।রাজস্থানে গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র জয়পুরেই আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি, আর গোটা রাজ্যে সক্রিয় করোনা রুগীর সংখ্যা ৬৭ হাজার। এই সব দিক বিবেচনা করেই কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল রাজস্থান সরকার।

গতকাল সরকারি সূত্রে একথা জানিয়ে কি কি বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকবে তা স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। তবে এটিকে লকডাউন বলে উল্লেখ করেছে না রাজস্থান সরকার। বলা হয়েছে রাজ্যজুড়ে ‘জন অনুশাসন পক্ষ’ পালন করা হবে আগামী ৩মে পর্যন্ত।এই দু সপ্তাহ জরুরি পরিষেবা ছাড়া আর কোনও পরিষেবা চালু থাকবে না। বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না। সবজি, ফল, দুধ এবং অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র বিক্রি করা যাবে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত।

তবে রান্নার গ্যাসের দোকান এবং পেট্রল পাম্প রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে নিজের রাজ্যে ফিরে যেতে না হয় সেকারণে শিল্পকেন্দ্রগুলি আংশিক খোলা থাকবে।

কিছুদিন আগেই করোনা সামলাতে কার্ফু জারি হয়েছে মহারাষ্ট্রে। অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরী সমস্ত পরিষেবায় ছাড় দিয়ে করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে বাধ্য হয়েই যে পদক্ষেপ বলে জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থাকরে। খবর পাওয়া যাচ্ছে সেরকম হলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রও লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে।

RELATED ARTICLES

Most Popular