নিউজ ডেস্ক: এই নিউ নর্মালেও দেশজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে মারণ ব্যাধির সেকেন্ড ওয়েভ। চারিদিকে শুধুই ত্রাহি ত্রাহি রব। আর এই অবস্থায় দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি হার মানাচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকে। দেড় লক্ষের গণ্ডি পার করে দু’লক্ষের দিকে এগোচ্ছে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। রবিবার প্রথমবার দেড় লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল দৈনিক আকার্ন্তের সংখ্যা। সোমবার হয়েছিল ১ লক্ষ ৬৮ হাজার। মঙ্গলবার তা কমে হয় ১ লক্ষ ৬১ হাজার। বুধবার দেশে নতুন করে আক্রান্ত হলেন ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন।
বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত চব্বিশ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২। গত চব্বিশ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ১,০২৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২,৩৩৯ জন। তবে এখনও পর্যন্ত দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৩,৬৫,৭০৪। বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮২৫। আপাতত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৫ জন।
ইতিমধ্যেই করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে একাধিক রাজ্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশের মধ্যে করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রে জারি ১৪৪ ধারা। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, লকডাউনে সায় নেই প্রশাসনের। তবে করোনা পরিস্থিতি বিচার করে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দাদের। বুধবার রাত আটটা থেকে জারি করা হবে ১৪৪ ধারা। ১৫ মে পর্যন্ত এই ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে এক জায়গায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। যে কোনও হোটেল বা দোকান থেকে জিনিস কিনে আনা যাবে সকাল সাতটা থেকে রাত আটটার মধ্যে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৩৩৯ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের অর্ধেকের থেকেও বহু কম। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন। সম্ভবত প্রথমবার দেশে একদিনে অ্যাকটিক কেস বাড়ল এক লক্ষের বেশি। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ১১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৭৮ জন।