নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফার নির্বাচন; তিনটি দফার নির্বাচন শেষ। এই দফার নির্বাচনের আগে আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হল। নির্বাচনে যাতে গন্ডগোল না হয় সেদিকে নজর দিতে জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি জারি থাকবে। শনিবার রাজ্যের ৪ জেলায় ৪৪ আসনে ভোটগ্রহন হবে। এই দফায় মোট ৯০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। শনিবার ভোট হবে উত্তরবঙ্গের দুই জেলা কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। এবং দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
আলিপুরদুয়ারে ৯৯ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কোচবিহারে ইতিমধ্যে পৌঁছেছে ১৮৮ কোম্পানি আধাসেনা। অপরদিকে কমিশনের নজরে রয়েছে হাওড়া হুগলি এবং দক্ষিণ শহরতলির বিধানসভা কেন্দ্রগুলির দিকেও।
বারুইপুর পুলিশ জেলায় ৪৫ কোম্পানি এবং ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ৩৯ কোম্পানি আর কলকাতা কমিশনারেট এলাকায় ১০১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকছে। অপরদিকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটে রাখা হচ্ছে ১০৩ কোম্পানি এবং হাওড়া গ্রামীণে ৩৭ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকছে। হুগলির জন্য চন্দনগরে ৮৪ কোম্পানি এবং হুগলি গ্রামীণ অঞ্চলে ৯১ কোম্পানি বাহিনী থাকবে শনিবার। আবার জলপাইগুড়িতে ৬ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের আওতায় ২৩৪৩ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। দুদিন ধরে এই সমস্ত এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু হয়ে গেছে। অপরদিকে হাওড়ায় অশান্তি এড়াতে আলাদা করে একজন পুলিশ কমিশনার নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটকে সহায়তার জন্য CIF-এর সুপার অজিত সিং যাদবকে পাঠানো হল কমিশনের নির্দেশে। শনিবার হাওড়ার ৯ আসনে ভোটের দায়িত্ব সামলাতে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে সাহায্য করবেন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন।
সুদীপ জৈন শুক্রবার সকাল থেকে দফায় দফায় নির্বাচন কমিশনে চতুর্থ দফা নির্বাচনের জন্য প্রতিটি জেলার আধিকারিকদের সাথে ভিডিও বৈঠক করেন। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ নির্বাচন কমিশনার এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, জেলার নির্বাচনী আধিকারিক, এডিজি আইন-শৃঙ্খলাকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে প্রথম তিন দফার মতো কোনও ঘটনা যেন আর না ঘটে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, যদি কোন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। শনিবারের ভোট যে কমিশনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা আবারও আজ সুদীপ জৈন ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছেন এদিনের বৈঠকে।