Homeউত্তরবঙ্গআলিপুরদুয়ার'মন কি বাত নাকি ডাল-ভাত?' প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ এবং মমতার 'বিনামূল্যে...

‘মন কি বাত নাকি ডাল-ভাত?’ প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ এবং মমতার ‘বিনামূল্যে রেশনের’ তুলনা অভিষেকের!

নিউজ ডেস্ক: “বিজেপি নেতারা ঠিক করুন সময়, স্থান ও তারিখ। একই মঞ্চে মুখোমুখি হবেন তারা। ১০ বছরের উন্নয়নের নিরিখে রিপোর্ট কার্ড দেবেন আমজনতা। যদি ১০-০ গোল দিয়ে বিজেপি নেতাদের বের না করতে পারেন, তবে রাজনীতির আঙিনায় আর আসবেন না,” দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে এসে এভাবেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের জনমুখী প্রকল্পগুলিই তৃণমূলের প্রচারের মূল হাতিয়ার। এই ভোটে সেসবকেই তুলে ধরছেন দলের নেতা নেত্রীরা। অন্যান্য নেতাদের তুলনায় তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার বেশি জনপ্রিয়। জনতা এবং দলীয় সমর্থকদের উজ্জীবিত করে তুলতে নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধিতায় তাঁর মূল অস্ত্র দুই সরকারের কাজের তুলনামূলক আলোচনা, যার মাধ্যমে তিনি বারবার বুঝিয়ে দিতে চান, ফের তৃণমূল সরকার তৈরি হলেই নাগরিক পরিষেবা অব্যাহত থাকবে, জনজীবনের মানোন্নয়ন হবে।

আগামী ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোট আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের বেশ কয়েকটি আসনে। বৃহস্পতিবার তার শেষ প্রচারে বেরিয়ে দলীয় সমর্থক ও ভোটারদের চাঙ্গা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে জনসভা থেকে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল সরকারের তুলনা করে তাঁর প্রশ্ন, ”মন কি বাত নাকি বিনামূল্যে ডাল-ভাত, কোনটা চান ?মন কি বাত তো শুনেছেন, দেখেছেন কি? ওটা দেখা যায় না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আমলে বিনামূল্যে ডাল-ভাত পাচ্ছেন। কোনটা ভাল, আপনারাই বিচার করবেন।”

কুমারগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী লুইস কুজুরের হয়ে প্রচারে গিয়ে অভিষেক চিরাচরিতভাবেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের কাজের তুলনা করেন। তা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ এবং মমতার বিনামূল্যে রেশনের তুলনা টানেন তিনি। এর আগেও অভিষেক তুলনা করে বলেছিলেন, ”বিজেপি নেতারা বিনামূল্যে ভাষণ দেন স্রেফ। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিনামূল্য রেশন দেন। বিনামূল্যে রেশন নাকি বিনামূল্যে ভাষণ – কোনটা চাইবেন?”

পাশাপাশি এদিন অভিষেক বলেন, করোনা যখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল সেসময় নিজের জীবনের পরোয়া না করে রাস্তায় নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভুক্তদের মুখে আহার তুলে দিয়েছিলেন তিনি। সেসময় বিজেপির সর্বভারতীয় নেতাদের একদিনও দেখা যায়নি। ভোটের সময় তারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছে।শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাত করতে। তিনি আরও বলেন, মমতার সরকার সমস্ত রকম সুযোগ দিয়েছে চা শ্রমিকদের।বিনামুল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। উন্নয়নের দিকগুলির দিকে তাকিয়ে তিনি কুমারগ্রামের প্রার্থী লুইস কুজুরকে ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন এদিন।

RELATED ARTICLES

Most Popular