নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফার নির্বাচনে আরও উত্তপ্ত বাংলা। জায়গায় জায়গায় আক্রান্ত তৃণমূল প্রার্থীরা। সুজাতা থেকে নির্মল, নাজবুল করিম বাদ যাননি কেউ। কোথাও প্রার্থীকে বাঁশ লাঠি নিয়ে তারা, তো কোথাও আধলা ইট ছুঁড়ে ফাটিয়ে দেওয়া হল মাথা, আবার কাউকে পেটানো হল আস্ত চ্যালা কাঠ দিয়ে।
ভোট চলাকালীন আক্রান্ত আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। অভিযোগ, মহিলা পুলিশের উপস্থিতিতে বিজেপি কর্মীরা বেধড়ক মারধর করা হয়েছে তাকে। রীতিমতন বাঁশ হাতে তাড়া করা হয় তাকে, প্রাণ বাঁচাতে মাঠের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছূতে বেড়াতে হয় প্রার্থীকে বলে অভিযোগ। মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয় প্রার্থী সুজাতার মাথা, ছোঁড়া হয় আধলা ইট, বলেও অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ইতিমধ্যেই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন।
সকাল থেকেই আরামবাগের আরান্ডির ২৬৩ নম্বর বুথে অশান্তি হয়। বেলা বাড়তেই তা বিরাট আকার নেয়। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ করা হয়, এলাকার মানুষ ভোট দিতে গেলে বিজেপি কর্মীরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এই খবর পেয়েই ওই বুথে যান আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। অভিযোগ, সেখানে বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুজাতা। মাথা ফাটে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরও।
বিজেপির পালটা অভিযোগ, ভোটচলাকালীন আরান্ডি এলাকায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের হেনস্তা করছিলেন তৃণমুল প্রার্থী। স্থানীয়দের বাড়িতে ঢুকে ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে ভোট দিতে বলছিলেন। সেই কারণেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি একজন গর্ভবতী মহিলার হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে সুজাতার বিরুদ্ধে।
এদিকে উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল মাজিকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল। ইটের আঘাতে প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই তাকে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুরে উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভার আমতা অঞ্চলের মুক্তিরচক গ্রামের ৭৮ নং বুথে যান তৃণমূল প্রার্থী নির্মল মাজি। তারপরই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। এরইমধ্যে রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। ইটের আঘাতে নির্মল মাজির নিরাপত্তারক্ষী জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে। এমনকি তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করারও অভিযোগ উঠেছে।
উলুবেড়িয়া উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল মাজির অভিযোগ, “সকাল থেকেই আমতার মুক্তিরচকে বিজেপি বুথ দখল করার চেষ্টা করছিল। খবর পেয়েই আমি সেখানে যাই। আমায় লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়।” যদিও ঘটনায় বিজেপির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এছাড়াও খানাকুলে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল প্রার্থী নজিবুল করিম। চ্যালা কাঠ দিয়ে প্রার্থীকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। প্রার্থীর অভিযোগ, পুরো নির্বাচন কমিশন বিজেপির এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে এই ভোটে। তৃণমূল শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটে করাতে চাইলেও, তাতে বাধা দিচ্ছে বিজেপি। তার আরও অভিযোগ, “বিজেপি বহিরাগত দুষ্কৃতি নিয়ে আসছে। তার জেরে মার্ডারও হয়েছে ওই অঞ্চলে।”