নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় বলে পরিচিত। তাঁরই সংসদীয় ক্ষেত্রে প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদার। গুরুতর জখম হয়ে ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি প্রার্থী দীপক হালদার। অভিযোগের তির শাসক শিবিরের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। ঘটনার প্রতিবাদে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে বিজেপি প্রার্থী দীপক হালদার দলীয় কর্মী- সমর্থকদের নিয়ে নিজের কেন্দ্র হরিদেবপুরে প্রচারে গিয়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, সে সময় আচমকাই বাঁশ, লাঠি, ধারাল অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা চড়াও হয়। মারধর করা হয় প্রার্থী ও দলীয় কর্মীদের। ঘটনায় বিজেপির প্রার্থী সহ ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রার্থী সহ আহতদের সকলকেই ডায়মন্ড হারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রার্থীর উপর হামলা হয়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ডায়মন্ডহারবারজুড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। বিজেপি জেলা সভাপতির অভিযোগ, তৃণমূলের মদতে বিজেপি প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবী, নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনে নাটক করছে বিজেপি। দীপক হালদারের বিরুদ্ধে জনরোষ আগে থেকেই ছিল বলে দাবী শাসক দলের।
খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবার থানার বিশাল পুলিশবাহিনী সেখানে যায়। তাদের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করে পুলিশ। অবরোধ তুলে না নেওয়ায় বিজেপি কর্মীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে অবরোধ সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, দীপক হালদার আগে শাসক দলেই ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই পদ্ম মোহে পড়ে দলবদল করেন তিনি। স্পীড পোস্ট করে জানিয়ে দেন দল ছাড়ার কথা। তারপরেই পদ্ম শিবিরে যোগ। পুরষ্কার স্বরূপ মেলে নির্বাচনী টিকিট, অবশ্যই পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে। আর তৃণমূলের বিধায়ক দীপক ভোটের আগেই শিবির পরিবর্তন করেছিলেন, সেই রোষেই তাঁর ওপর আক্রমণ বলেই মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদলের দিকেই, যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃনমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য অভিষেক গড়ে বিরোধী দলের ওপর আক্রমণ কোনও নতুন ঘটনা নয়। ২০১৯ লোকসভায় এই কেন্দ্রেই প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল সিপিএম প্রার্থী ডাঃ ফুয়াদ হালিমকে। সেবারও অভিযোগ উঠেছিল এই শাসকদলের বিরুদ্ধেই।