নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে বাংলার আবহাওয়া এমনিতেই উত্তপ্ত। এরই মধ্যে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হল প্রার্থীর অশ্লীল ছবি ঘিরে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী সৈয়দ রাফিকা সুলতানা, তিনি আবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্যও। তারই অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে পড়েছে নেট পাড়ায়। তাঁর অভিযোগ, অশ্লীল ছবিতে তাঁর মুখ লাগিয়ে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নেটমাধ্যমে। আর এই অভিযোগের পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
শনিবার জলঙ্গিতে সাংবাদিক বৈঠক করে রাফিকা সুলতানা বলেছেন, ‘‘আমার মুখ ব্যবহার করে অশ্লীল ছবি তৈরি করা হয়। ‘খয়রামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য’ নামক একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ছড়ানো হয় সেই ছবি।’’ রাফিকা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা তাঁর অশ্লীল ছবি ভাইরাল করেছেন নেট মাধ্যমে। জলঙ্গির তৃণমূলের প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ও ব্লক সভাপতি রাকিবুল ইসলামের মদতে এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাফিকা। ঘটনা নিয়ে সাগরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতারও করেছে।
যদিও জলঙ্গির তৃণমূল প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাকের দাবী, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবে যুক্ত নয়। মিথ্যা অভিযোগ করে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, আব্দুর রাজ্জাকের নাম তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হতেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূলের একটি অংশ। তৃণমূলের সেই বিক্ষুব্ধরা নির্দল প্রার্থী হিসেবে রাফিকা সুলতানার নাম ঘোষণা করেন। তার পরই জলঙ্গি এলাকায় জোর প্রচার শুরু করেন তিনি। তার পরই এই ঘটনা ঘটল।
উল্লেখ্য,নির্বাচন প্রাক্কালে প্রায় দিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের কিছু না কিছু ভিডিও ভাইরাল ভাইরাল হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী সুখময় শতপথী ও কসবার তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন পর্যন্তও গড়ায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উভয় প্রার্থীই।