নিজস্ব সংবাদদাতা: রানীগঞ্জ আর বরাকরের ঘা শুকিয়ে উঠেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকা। দু’দুটো রামনবমীর ক্ষত যন্ত্রনা দগ্ধ করেছে এই এলাকায়। ঘটে গেছে মৃত্যু , রক্তপাত আর সম্পত্তি হানি। আর তারপর সাম্প্রতিক দিল্লির দাঙ্গা। অবাঙালি আর বাঙালির পাশাপাশি ধর্মীয় মিশ্রন রয়েছে এলাকায়। আর সেই সব সু্যোগ নিয়ে কোনও ভাবেই যাতে ‘হোলি’র সময় বিশৃংখলা সৃষ্টি না’ হয় তাই আগে ভাগেই রাস্তায় নামল পুলিশ।
জানা গেছে ইতিমধ্যেই আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাকে সুবিধামত ভাগ করে নিয়ে রুট মার্চ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। মানুষকে সতর্ক করে মাইকিং করে বলে দেওয়া হচ্ছে, আপনার আনন্দ যেন অন্যের দুঃখের কারন না হয়ে দাঁড়ায়। শান্তিতে দোল খেলুন কিন্তু অপরের ক্ষতি করে নয়, অনিচ্ছুক মানু্ষের গায়ে রঙ দেবেননা ইত্যাদি ইত্যাদি।
৪৮ঘন্টা পরে হোলি শুরু আর তার আগেই শুক্রবার রাস্তায় নামলেন কমিশনারেটের পুলিশ কমিশানার সুকেশ কুমার জৈন স্বয়ং। জৈন বলেন, কোনও এলাকায় যাতে অশান্তি না ছড়ায় পুলিশ সে বিষয়ে সচেষ্ট আছে। রুটমার্চ করা হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়া বেআইনি মদ রুখতে ব্যাপক পুলিশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই কুলটি এলাকা থেকে প্রচুর চোলাই ও বেআইনি ভাবে মজুত করা মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সক্রিয় কমিশনারটের গোয়েন্দা বিভাগ। সমস্ত থানা এলাকার দাগি সমাজবিরোধীরা নজরে রয়েছে তাঁদের। প্রয়োজনে আগাম সতর্কতা হিসাবে তাদের জালে টেনে আনতে পারে বলে জানা গেছে। কমিশনার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন , নিজে আনন্দ করুন, কিন্তু অন্যের আনন্দকে মাটি করে নয়। আর সেরকম কোনও সম্ভাবনা দেখলেই পুলিশ চুড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে। দোলের দু’দিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাস্তায় থাকছে কয়েক হাজার পুলিশ। থাকছে দাঙ্গা মোকাবিলা বাহিনী। পুলিশ কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে আর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ছুটি বাতিল করা হয়েছে পুলিশের। সব মিলিয়ে আসানসোলকে নিরাপদ হোলির আনন্দ দিতে অতন্দ্র প্রহরায় পুলিশ।