নিউজ ডেস্ক: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যে দল রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করে জয়লাভ করলে সেই দলকেই সমর্থন করবেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কো-অর্ডিনেটর তথা এসজেডিএ এর ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন শিলিগুড়ি বিধানসভা আসনের এবারের নির্দল প্রার্থী নান্টু পাল।
সাংবাদিক সম্মেলনে নান্টু বাবু বলেন, শিলিগুড়িতে তার লড়াই অশোক ভট্টাচার্যের সাথে। তৃণমূল প্রার্থীকে তেমন আমল দিতে চাননি তিনি। শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র বামেদের দখলে। সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের এই কেন্দ্রটি এবার ছিনিয়ে নিতে আপ্রান প্রয়াস চালাচ্ছেন নান্টু বাবু। নান্টু বাবুর ইচ্ছে ছিল তৃণমূলের টিকিটে শিলিগুড়িতে ভোটের ময়দানে নামা।
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস শিবির টিকিট দিয়েছে ওমপ্রকাশ মিশ্রা কে। আর এই নাম ঘোষণা হওয়ার পর ক্ষুব্ধ দীর্ঘদিনের তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরো নিগমের কো-অর্ডিনেটর এবং শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষনার পরই জেলায় জেলায় তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। পিছিয়ে ছিল না শিলিগুড়িও। শিলিগুড়ি কেন্দ্রে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী করায় ক্ষোভ উগরে দেন নান্টু পাল। শিলিগুড়ির কাউকে প্রার্থী না করে বহিরাগতকে প্রার্থী করায় তিনি তা মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানান। প্রকাশ্যেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, দলে এই নাম নিয়ে কখনও আলোচনা হয় নি। শহরবাসী চাইছিল শিলিগুড়ির কেউ প্রার্থী হোক। ২০১১ সালে শহরের রূদ্রনাথ ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করায় মানুষ তাকে জিতিয়েছিল। যতবারই বাইরে থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, “রাজনীতি করতে এসেছি। যার জন্য কাজ করব ১০০ শতাংশ দেব। এখন যদি দেখি বারবার কলকাতা থেকে পাঠিয়ে দেবে আর তাকে বহন করে নিয়ে যাব। এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।“
শেষ পর্যন্ত দল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নান্টু পাল এবং প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নান্টু নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন এটাই দেখার শিলিগুড়ি আসন থেকে কে জয়লাভ করেন।