নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হুইলচেয়ারে বসে পড়েছেন। এবার তৃনমূলের নেতাকর্মীরাও হুইলচেয়ারে বসে পড়বেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী চিরঞ্জীব ভৌমিকের সমর্থনে প্রচারে এসে তৃণমূলকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বাম এবং কংগ্রেস আয়োজিত সবংয়ের রাখিল্যা মোড়ে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থীর সমর্থনে জনসভার নজরকাড়া এই ভিড়ে লোকসভার কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজে এখন হুইলচেয়ারে বসে গেছে। নেতাকর্মী আপনাদেরও দুদিন পর হুইল চেয়ারে বসতে হবে উপায় নেই। কারন এই দল আর ক্ষমতায় আসছেনা।”
অধীরের কটাক্ষ, মানুষ তার অভিজ্ঞতায় বুঝে গেছেন যে এটা ‘করে লে’ র সরকার। বাড়ি গাড়ি গয়নাগাটি লুটেপুটে নেওয়া আর চিটফান্ডের সরকার। যেমন আপনাদের এখানকার মানসবাবুর চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে।” এরপর তিনি কী করবেন, উপস্থিত জনতা আওয়াজ তোলেন, বিজেপি করবে, বিজেপি করবে। উল্লেখ্য ২০১৬ সালে এই আসন থেকে বাম-কংগ্রেস জোটের হয়ে জেতার পর তৃনমূলে যোগদান করেন মানস। অনেকের ধারনা তৃনমূলের সরকারের দায়ের করা একটিখুনের মামলা থেকে বাঁচতেই তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। উপস্থিত জনতা তাই অধীরের কথার প্রসঙ্গে জানিয়ে দেয় চিটফান্ড মামলা থেকে বাঁচতে মানস ভূঁইয়া ভবিষ্যতে বিজেপি করবেন।
চৌধুরী বলেন, “এই মানসবাবু যখন কংগ্রেসে ছিলেন তখন আপনাদের কী বলত? তখন বলতো কংগ্রেস আছে বলে দেশ হয়েছে, কংগ্রেস স্বাধীনতা দিয়েছে। কংগ্রেস আপনাকে অধিকার দিয়েছে, কংগ্রেস ভারতবর্ষের মানুষকে সংবিধান দিয়েছে কত না কথা বলতো। এখন সেই ভদ্রলোকের অবস্থা ঢোড়া সাপের ব্যাঙ গিলে নেওয়ার অবস্থা হয়। আমাদের মানস বাবুরও ব্যাঙ গিলে নিয়ে সেই রকম অবস্থা হয়ে গেছে। আর নড়াচড়া করতে পারছেন না।”
অধীর চৌধুরী এদিন তৃনমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের কি একটাই নেতা তাও আবার কংগ্রেসের কাছ থেকে ধার করা? আর কোনো নেতা নেই। সেই পরিবার এমপি হবে, সেই পরিবারে এমএলএ হবে । সেই পরিবার রাজ্যসভায় যাবে আবার সেই পরিবারই আবার এমএলএ হবে? সেই পরিবার পঞ্চায়েত দখল করবে। একটাই পরিবার আর কেউ নেই বাজারে। তৃণমূলের আর কোনো নেতার জ্ঞান নেই বুদ্ধি নেই বিবেক নেই কিছুই নেই শিক্ষা নেই? শুধু একজনেরই আছে? একটাই সবং মানে মানস, মানস মানে সবং! নাকি সবং মানে মানুষ আর মানুষ মানে সবং?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ” আপনারা চাষের জন্য হাটে গিয়ে গরু কেনেন। পয়সা দিয়ে যখন গরু কেনেন তখন দেখে নেন। সে গরু ঠিক মত দৌড়াতে পারবে কিনা,মাঠে হাল জুড়তে পারবে কিনা। গাড়ি চালাতে পারবে কিনা, আপনি দেখে নেন। আপনি পাচন দিয়ে বাঁড়ি মেরে দেখে নেন গরু ছুটছে কিনা ঠিকঠাক। দেখে আপনি কি করেন, যে গরুর দাঁতে জোর আছে, যে গরুর দাঁত শক্ত আপনি তাকে খরিদ করেন। নির্বাচনও তাই’ নির্বাচনে যারা দাঁড়িয়েছে। তাদেরকে মনে করুন তারা একটা একটা হাটের গরু। সেই গরুর মধ্যে বুড়া গরু নেবেন,না বাছুর নেবেন তা আপনারা ঠিক করবেন।” এদিন মোদি আর দিদি একটা পয়সার এপিঠ-ওপিঠ একি বৃন্তে দুটি ফুল বিজেপি আর তৃণমূল বলেও বর্ননা করে যান তিনি।