নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে শিক্ষকের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। আগে যে সমস্ত গদ্দার ছিল, তারা চাকরি নিয়ে অনেক বেইমানি করেছে। আমি জানি, এবার কাজকর্ম ডাইরেক্ট হবে। কারওর মাধ্যমে হবে না।” প্রকাশ্য জনসভায় বোমা ফাটালেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরাতে শুক্রবার তৃণমূলের নির্বাচনী জনসভা ছিল। আর সেখানেই উপস্থিত হন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের কথা বলতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। তবে গেরুয়া সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন করছে, রাজ্যে বেকারের কর্মসংস্থান কোথায়! তবে যদিও বা দুই একটি ক্ষেত্রে কিছু বেকারের কর্মসংস্থান হয়, তবুও সেখানে টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। তবে এতদিন বিরোধীদের সেই অভিযোগকে কার্যত মিথ্যা প্রমাণ করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের। কিন্তু এবার যেন নির্বাচনী সভায় এই চাকরি ইস্যুতে বোমা বিস্ফোরণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে দল থেকে বেরিয়ে কিছু কিছু লোক বিজেপিতে গিয়ে চাকরি যাওয়া নিয়ে বেইমানি করেছে বলে কার্যত প্রকাশ্য সভায় স্বীকার করে নিতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এই ইঙ্গিত যে দলত্যাগী শুভেন্দু ও রাজীবকে নিয়েই সেকথাও অনেকাংশে স্পষ্ট।
আর দলনেত্রীর এমন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। একাংশ বলছেন, তৃণমূল দলে যেমন শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তেমনই সরকারের ক্ষেত্রে তিনিই শেষ কথা বলেন। স্বাভাবিক ভাবেই মমতার এই মন্তব্য যে তাঁর দলের জন্যই কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে তা আলাদা করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে চর্চা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী এমন কিছু বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন, যা বিরোধীদের হাতে অনেক ক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ করে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।