নিজস্ব সংবাদদাতা: দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল হঠাৎ আর তাই দেখে গাড়ি ছেড়ে দৌড় দিল চালক। আশেপাশের জনতা প্রাথমিকভাবে চেষ্টা করেছিল গাড়ির আগুন নেভাতে কিন্তু এত দ্রুত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল যে স্থানীয়দের বালতির জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা সফল হয়নি। পরে তাঁদের মারফৎ খবর পেয়েই সিপাহিবাজার থেকে ছুটে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। আগুন নিভিয়ে ফেলে তাঁরাই। যদিও ততক্ষনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় গাড়িটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন মারুতি ভ্যান ধরনের ওই গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল দেওয়ান বাবার চক থেকে মির্জা বাজারে রাস্তায় সামান্য পূর্ব দিকে। কাছেই সিপিআইয়ের একটি নির্বাচনী কার্যালয় ছিল। তখন বেলা প্রায় ১টা। হঠাৎই গাড়িটিকে প্রথমে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নির্বাচনী কার্যালয়ে থাকা কয়েকজন যুবক বিষয়টি নজর করে। এরপরই আগুনের শিখা দেখা যায় গাড়ির মাঝখানের অংশে। বৃহস্পতিবার চড়া রোদ থাকায় সেই সময় রাস্তায় লোকজন কম ছিল। অন্যদিকে জোরে বাতাস বইতে থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল গাড়িকে ঘিরে। গাড়ির ভেতরে থাকা রাবারের সিট, রঙ এর ওয়ারিংয়ের তার দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। এরপরই রাবারের প্যানেল ছুঁয়ে আগুন বেরিয়ে আসে বাইরের অংশে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হতচকিত ভাব কাটিয়ে উঠে আমরা কয়েকজন জলের সন্ধান করছিলাম গাড়ির আগুন নেভাবো বলে। প্রথম দিকে বালতি পাচ্ছিলামনা। তারপর বালতি জোগাড় করে কয়েক বালতি জল ঢালি। কিন্তু গাড়ি ততক্ষনে দাউদাউ করে জ্বলে শুরু করেছে আর তার তাপে কাছে যাওয়া যাচ্ছিলনা। আমরা ভয় পাচ্ছিলাম যে পাছে গাড়ির যন্ত্রাংশ ফেটে আমাদের গায়ে লাগে। এরপরই আমরা দমকলকে খবর দেই। দমকল এসে আগুন নেভায় বটে কিন্তু ততক্ষণে গাড়ি পুরোপুরি ভস্মীভূত।
জানা গেছে গাড়িটির পেছনের অংশে মুখয়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো ছিল এবং গাড়ির অন্যান্য অংশে তৃনমূলের প্রতীক ইত্যাদি ছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে পেট্রোল গাড়িকে গ্যাসে রূপান্তরিত করা হয়েছিল আর সেটা করার সময় যথেষ্ট পরিমাণ মেরামত করা হয়নি বলে কোনও অংশ থেকে গ্যাস বেরিয়ে আগুনের সংস্পর্ষে চলে আসায় এই দুর্ঘটনা। তবে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আগুন এল কোত্থেকে যে তার সংস্পর্ষে গ্যাস চলে এল? তবে কী গাড়ির ভিতরে ধূমপান করা হচ্ছিল? উঠছে সেই প্রশ্ন। পুলিশ গাড়ির নম্বর ধরে গাড়ির মালিক ও চালকের খোঁজ চালাচ্ছে।