নিউজ ডেস্ক: দীপেন প্রামাণিককে প্রার্থী করার দাবীতে উত্তাল জলপাইগুড়ি। বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভ অব্যাহত। জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হলেন আইনজীবী সৌজিত সিনহা। প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেতা কর্মীরা। বিজেপি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন তারা।
অভিযোগ, পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীদের প্রার্থী না করে নতুন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এই নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলা এলাকা। পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতা কানন রায় অভিযোগ করে বলেন, পুরনো বিজেপি নেতা কর্মীদের প্রার্থী না করে নতুন একজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এমনটা কিছুতেই মেনে নেবেন না তারা। বিজেপি নেতা কানন রায় বলেন, ‘আমরা চাইছি আমাদের পুরনো নেতা দীপেন প্রামানিককে জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হোক।‘ তা না হলে লাগাতার আন্দোলন করবেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয় আসন্ন বিধানসভায় বাকি আসনগুলোতে জন্য তাতে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি আসনে বিশেষ করে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি আসনে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। এই অসন্তোষ ক্ষোভ এতটাই মাত্রা ছাড়িয়েছে যে সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি দেশবন্ধু রোড স্থিত বিজেপির জেলার সদর কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষিপ্ত বিজেপি সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা কেন্দ্রে সৌজিত সিংহকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে পছন্দ না হওয়ায় বিজেপি কর্মীদের একাংশ ডিবিসি রোডে জেলা বিজেপি অফিসে ভাঙচুর চালান। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ব্যানার, প্ল্যাকার্ডে। বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি দীপেন প্রামাণিক ওই কেন্দ্রের দাবীদার ছিলেন বলে তাঁর অনুগামীদের দাবি। অভিযোগ, এদিন নাম ঘোষণার পর দীপেন প্রামাণিকের অনুগামীরাই জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বিষয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর বক্তব্য, যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবেন। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দ্বিপেন প্রামানিক এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিকেলের পর রাতেও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ে।