নিজস্ব সংবাদদাতা: চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা হাতিয়ে গ্রেপ্তার বর্ধমানের এক তৃণমূল নেতা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দলের মধ্যেই। জানা গেছে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থীপদে টিকিটের জন্য দরবারও করছিলেন ওই নেতা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তথা তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের সেই নেতাকেই বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। করল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃত ওই তৃণমূল নেতার নাম সীতারাম মুখোপাধ্যায়। বুধবারও বর্ধমানের কার্জন গেটে তৃনমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভার মঞ্চে দেখা গিয়েছিল ওই নেতাকে। রাতেই তাঁকে বর্ধমান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলার রামপুরহাটের নারায়ণপুর গ্রামের রিঙ্কু দাস নামে এক তরুণ গত ২২ ডিসেম্বর বর্ধমান থানায় সীতারামের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, সীতারাম মুখোপাধ্যায় তাঁকে মৎস্য দপ্তরে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১২ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে জানান। অগ্রিম বাবদ সীতারাম ওই যুবকের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকাও নেন। এরপর ওই যুবককে দিয়ে একাধিক সাদা কাগজে সইও করিয়ে নেন তিনি।
কিছুদিন আগে রাজ্য মৎস উন্নয়ন নিগমের একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয় রিঙ্কুকে। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন তিনি। নিয়োগপত্র ভুয়ো বলে তাঁকে জানানো হয়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি বর্ধমান থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। টাকা দেওয়া সংক্রান্ত নথিও পুলিশের কাছে জমা দেন তিনি। তদন্তে নামে বর্ধমান থানার পুলিশ।
বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ রোডের প্রান্তিক বাজারের কাছ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সীতারাম এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস খুলেছিলেন। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতেন। বুধবারও তৃণমূলের কংগ্রেসের জেলার কর্মসূচিতে মঞ্চে হাজির ছিলেন তিনি। সেই নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় জেলার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দেবু টুডু জানান, ” কেউ অপরাধ করলে তাঁর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না। আইন আইনের পথে চলবে।’ বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয় ওই নেতাকে।