নিজস্ব সংবাদদাতা: “সাত বছর আগে যারা ভারতকে সোনার চিড়িয়া বানাবে বলেছিল তাদের শাসনে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে জিডিপি মাইনাস ২৯শে নেমে গেছে। গত ৭০বছরে দেশের অবস্থা এত খারাপ হয়নি। এখন ভাবুন তারাই আজ সোনার বাংলা গড়ার কথা বলছে! এদের হাতে দেশ গেলে বাংলার অবস্থা কী হবে?” পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন বিধানসভার প্রার্থী বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধানের সমর্থনে প্রচারে এসে বিজেপিকে এভাবেই আক্রমন শানালেন ঘাটাল থেকে নির্বাচিত সাংসদ অভিনেতা দেব বা দীপক অধিকারী।
দেব আরও বলেন, “ওনারা এখন বলছেন বাংলার কর্মসংস্থান নিয়ে নিয়ে নাকি ভাবছেন। বেশ ভালো কথা কিন্তু তার আগে বলুন ৭বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে বছরে যে ২কোটি বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার কী হল? সারা দেশে এই সাত বছরে বেকারদের অবস্থা কেন এতটা খারাপ হল যে গত ৫০বছরে দেশের এমন হাল হয়নি?” জনতার উদ্দেশ্যে দেব বলেন, এখন তো সবারই হাতে হাতে স্মার্টফোন রয়েছে। তাহলে বোকা থাকবেন কেন? স্মার্ট ফোনেই গুগুল সার্চ করে নিজেরাই জেনে নিন দেশের অর্থনীতি, বেকারত্বের হাল।”
বুধবার দাঁতনের তুরকাতে এলাকায় পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী প্রচারে আসেন দেব সঙ্গে ছিলেন দলের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ সৌগত রায়।
এদিন দুপুর নাগাদ তুরকার রানডাঙ্গার মাঠে কপ্টারে নামার পর হুডখোলা জিপে প্রার্থীকে নিয়ে রোড-শো করেন সাংসদ ও অভিনেতা দেব এবং সৌগত রায়। পরেই ওই মাঠেই একটি সভায় কথাগুলি বলছিলেন তৃণমূলের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।
তিনি বলেন, ‘বেশিদিন আগের কথা নয় মাত্র ১বছর আগের কথাই ধরুন। গোটা দেশ করোনা মহামারীর কবলে। প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের সমস্ত রাজ্যগুলির মুখয়মন্ত্রীরা নিজ নিজ অফিসে বসে করোনা মোকাবিলা করছেন। ব্যতিক্রম খালি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যিনি রাস্তায় নেমে, জেলায় জেলায় গিয়ে মানুষকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহস যোগাছেন! আমরা আমাদের বয়স্ক বাবা-মাকে সেই সময় ঘরের বাইরে বেরুতে দেইনি। পাছে তাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন কিন্তু আমাদের ষাটোর্ধ দিদি আমাদের মায়ের মত হয়ে রাস্তায় নেমেছেন।’
বিজেপি এরাজ্যে নারী সুরক্ষা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছে তার জবাবে দেব বলেন, ‘ ওরা যে সব রাজ্যে ক্ষমতায় আছেন সেই উত্তর প্রদেশে যদি নারীদের নিরাপত্তার একটু ভালো অবস্থা করা যেত তাহলে সারাদেশেই নারীদের অবস্থাটা অনেক ভালো হতে পারত। এরাজ্যে নারীরা তুলনায় অনেক ভালো, অনেকেই সুরক্ষিত আছেন। তাঁদের পড়াশুনা থেকে বিয়ে হওয়া অবধি দিদিই দেখেন। এরচেয়ে বড় কথা কী আছে?”
দেব জনতাকে অনুরোধ করে গেছেন , ‘ এখন ভোটের সময় অনেকে আসছেন, বাইরে থেকে এসে অনেক কথা বলছেন। কিন্তু প্ররোচনায় পা দেবেন না।কারণ তাঁরা বিগত নির্বাচনগুলিতে অনেক কথা বলেছে তা পূরণ করতে পারেনি।সে তুলনায় তৃণমূল সরকার সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের অনেক উন্নয়ন করেছেন। আমরা যদি আরও উন্নয়ন চাই তাহলে দিদিকেই ফিরিয়ে আনতে হবে।”