বিভূ কানুনগো: অপেক্ষা করে করে জনতার ধৈর্য্যের বাঁধ প্রায় ভেঙে পড়ার মুখেই এসে খড়গপুরে এসে পৌঁছালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এসে পৌঁছালেন বাংলার নির্বাচনে নিজেদের কোনও দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রথম প্রচারের জন্য। না, ২০২১ মহারনের হয়ে প্রচার তিনি তিনমাস আগে থেকেই প্রচারে এসেছেন। দলের নিয়ম মেনেই মাসে দুবার এসেছেন অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা কিন্তু প্রার্থী ঘোষনার পর সরাসরি কোনও প্রার্থীর সমর্থনে এই প্রথম প্রচার শুরু করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শুরু করলেন খড়গপুর শহর থেকেই।
কথা ছিল বিকাল ৫টা থেকে শুরু হবে তাঁর রোড-শো। যদিও বিজেপির পক্ষে প্রচার করা হয় বিকাল ৩টা থেকে শুরু হবে। মানুষ মালঞ্চ রোডের দু’পাশে জমায়েত করতে শুরু করে বিকাল ৪টা থেকেই। শুধুই শহর নয়, শহর ছাড়িয়ে হিরাডিহি, প্রতাপপুর, শোভাপুর, ধাদকি, শাকপাড়া ইত্যাদি আশেপাশের গ্রাম গুলি থেকেও সমর্থকরা আসেন। ওদিকে আগেই এসে গেছিলেন খড়গপুর সদরের বিজেপি প্রার্থী হিরন, রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয় বর্গীয়রা। শহরের নেতা তুষার মুখার্জীও হাজির।
দিল্লি থেকে সেনার বিশেষ বিমানে কলাইকুন্ডা নামেন শাহ তারপর মালঞ্চ প্রেমহরি ভবনের সামনে রোড-শো শুরুর জায়গায় তিনি যখন পৌঁছালেন তখন সাড়ে ৬টা। সন্ধ্যা নেমে যাওয়ায় মানুষের ঘরে ফেরার তাড়া। তারই মধ্যে পেট্রলপাম্প অবধি ৮০০মিটার হিরণকে সাথে নিয়ে হাত নাড়লেন শাহ। রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারের শুরুয়াত হল এভাবেই। এদিন শাহের নিরাপত্তায় ছিল নজরকাড়া নিরাপত্তা। প্রায় ১ডজন সাদা গাড়ির কনভয় আগে পেছনে ঘিরে রাখে শাহের বিশেষ গাড়িটিকে। ড্রোনের মাধ্যমে নজর রাখা হয় আশেপাশের জনতার ভিড় এবং বহুতল বাড়ি গুলির ওপর।
এদিন রাতে খড়গপুর শহরের একটি হোটেলে থাকবেন তিনি। ওখানেই পর্যালোচনা বৈঠকে জানবেন প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় ভোটের প্রস্তুতি। সোমবার ঝাড়গ্রামের একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার পাশাপাশি জঙ্গলমহল জুড়ে সিধু-কানহু-বিরসা মুন্ডা যাত্রার সূচনা করার কথা রয়েছে তাঁর।