Homeএখন খবরনন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার তদন্তে সিবিআই? অপসারিত হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার,...

নন্দীগ্রামে মমতার আহত হওয়ার তদন্তে সিবিআই? অপসারিত হলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, নিরাপত্তা উপদেষ্টা

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন কথায় কথায় সিবিআই তদন্তের দাবি করতেন মমতা ব্যানার্জী। যদিও নিজে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সিবিআই বিরোধিতা শুরু করেছেন। এবার তাঁকেই সম্ভবতঃ পড়তে হতে চলেছে সিবিআই তদন্তের আওতায়। নন্দীগ্রামে তাঁর আহত হওয়ার ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে একটি মামলা গৃহীত হয়েছে হাইকোর্টে যা শেষ অবধি আদালতের সম্মতি পেলে গড়াতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আওতায়।

জানা গেছে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়েছিলেন। তা মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন। আগামী শুক্রবার থেকে সেই মামলার শুনানি শুরু হবে। ওই ব্যক্তির নাম সুরজিৎ সাহা।

সুরজিৎ সাহা নামে ওই সমাজকর্মী হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা সত্ত্বেও যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী আহত হয়েছে, তা তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে। পুরো বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে আর্জি জানান। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে ওই সমাজকর্মী দাবি করেছেন, ঘটনার পর প্রায় ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিশ সেভাবে কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি। কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।

এদিকে রবিবার এই ঘটনায় কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভূ গোয়েল এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশকে। সেই জায়গায় পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন জেলা শাসক হলেন স্মৃতি পান্ডে এবং নতুন পুলিশ সুপার হলেন সুনীল যাদব। সাসপেন্ড করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কেও।

গত বুধবার নন্দীগ্রামে আহত হন মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক। পৃথকভাবে রিপোর্ট দিয়েছিলেন কমিশনের দুই পর্যবেক্ষকও। সেদিন ঘটনাস্থলে, স্থানীয় কোনও পুলিশ উপস্থিত ছিলেন না বলে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তারাও মনে করছে সেদিনের ঘটনায় গাফিলতি ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশেরও। এই কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

RELATED ARTICLES

Most Popular